শিশুদের প্রতিদিন ডিম খাওয়ার উপকারিতা

শিশুদের প্রতিদিন ডিম খাওয়ার উপকারিতা

ডিম সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারগুলির মধ্যে যে একটি সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। সারাদিনে কাজের শক্তি যোগাতে হোক, রোগবালাই দূর করতে হোক বা ক্লান্তি মিটাতে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। চিকিৎসকরা সবসময় ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। নানা ধরনের ভিটামিন তো বটেই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ডিম ভরপুর। তবে নানা কারণে বড়দের তুলনায় শিশুদের ডিম খাওয়া বেশি জরুরী। এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা।

ডিমের বেশ কিছু উপাদান শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণাপত্রে দেখানো হয়েছে, ৯ মাস বয়স থেকে যে সমস্ত শিশুদের প্রতি দিন ডিম খাওয়ানো হয়, তাদের মস্তিষ্কের গঠন অন্য শিশুদের তুলনায় ভাল হয়।

এই সমীক্ষাটির জন্য ১৬৩ জন শিশুকে বেছে নেওয়া হয়। তাদের বয়স ৭ থেকে ৯ মাসের মধ্যে। এর পরে তাদের দু’দলে ভাগ করে একদলকে টানা ৭ মাস রোজ ডিম খাওয়ানো হয়। অন্য দলের শিশুদের এই ৭ মাস একটিও ডিম খাওয়ানো হয়নি। দেখা গিয়েছে, প্রথম দলের শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বেশি হয়েছে।

এর আগে পর্যন্ত শিশুদের ১ বছর বয়স হওয়ার পরেই ডিম খাওয়ানোর পরামর্শ দিতেন চিকিৎসকেরা। ডিমের কারণে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে ভেবেই ১ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলা হত। কিন্তু এই গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, তার আগেই শিশুদের ডিম দেওয়া উচিত। তা হলে তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ তুলনায় তাড়াতাড়ি হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password