স্বনির্ভর হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

স্বনির্ভর হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

দেশের স্বাধীনতা এবং স্বার্বোভৌমত্ব রক্ষার গুরু দ্বায়িত্ব পালনে স্বচেস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবার পরনির্ভরশীল সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের পথ থেকে সরে এসে আত্মনির্ভশীল বাহিনীতে রুপান্তর হবার পথে এগিয়ে চলেছে। যার আলোকে ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনার অধীনে বাহিনীর নিজ্বস ট্রেনিং ব্যবস্থায় আধুনিকায়নের পাশাপাশি অস্ত্র সরঞ্জাম ক্রয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত-উৎপাদন এবং রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বিশেষায়িত প্রযুক্তি বিনিময় চুক্তি গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর অর্ডান্যন্স বোর্ডের পরিকল্পনা অনুসারে সেনাবাহিনীর কনভেনশনাল যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র সরঞ্জাম এবং গোলা দেশেই প্রস্তুত করা হবে যার অধীনে বাংলাদেশ অর্ডান্যান্স ফ্যাক্টিরি BOF এর আধুনিকায়ন এবং সম্প্রসারনে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। সেনাবাহিনীর এই মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসাবে দেশে ৬০ মিমি, ৮১ এবং ৮২ মিমি মর্টার গোলা উৎপআদন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

এর পাশাপাশি চীনা সহায়তায় বিওএফ তাদের নিজ্বস বিওএফ-২৬-১ ৬০ মিমি এবং বিওএফ-৮৭ নামে ৮১ মিমি মর্টার প্রস্তুত করেছে যা ইতিমধ্যে বাহিনীতে যুক্ত হবার পথে । এছাড়া চীনা সহায়তায় ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী তাদের শর্ট রেঞ্জ সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল এফএন-১৬ মিসাইল এবং লঞ্চ সিস্টেম উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছে।

মধ্যমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সেনাবাহিনী তাদের গোলন্দাজ পদাতিক বাহিনীর গোলা এবং ক্ষেপণাস্ত্র চাহিদা কে মাথায় রেখে সেনাবাহিনীর সাজোয়া বহরে জন্য ১০৫ মিমি, ১২২ মিমি এবং ১৫৫ মিমি গোলা দেশেই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে এবং এসব গোলা দেশে প্রস্তুতের জন্য তুরস্কের সাথে কারখানা স্থাপনের বেপারে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

সেনাবাহিনী রকেট আর্টিলারী ব্যবস্থা ডাব্লিউ এস-২২জি সিস্টেম এর জন্য ব্যবহার করা ১২২ মিমি গাইডেড এবং আন - গাইডেড রকেটও ভবিষ্যতে দেশে তৈরী করা হবে। এছাড়া সেনাবাহিনীর ছোট অস্ত্র সমুহের চাহিদা মেটাতে এবং আধুনিক অস্ত্র উন্নয়ন এবং প্রস্তুতের লক্ষ্যে বিওএফ এর অধীনে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট শাখা কাজ করছে। বিওএফ ৯ মিমি, ১২ গজ, ৭.৬২*৩৯ মিমি, ৭.৬২*৫৪ মিমি ক্যালিবার গুলি উৎপাদন করে আসছে এর পাশাপাশি বিওএফ ভারি ক্যালিবার রাউন্ড ১২.৭*১০৮ মিমি এবং ২০ মিমি রাউন্ড দেশেই তৈরী করবে।

অস্ত্র উৎপাদনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে একটি যুগোপোযোগী বাহিনী হিসাবে রুপান্তরের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীর নিজ্বস আর্মোর ভ্যাহিক্যাল এবং মিডিয়াম ওয়েট ট্রাক দেশেই প্রস্তুত করবে যে লক্ষ্যে ইন্দোনেশীয়া এবং তুরস্ক বাংলাদেশে সাথে যৌথ ভাবে কারখানা স্থাপন এবং উৎপাদনে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আত্মনির্ভরশীল সেনাবাহিনী গঠনের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশের বিপুল পরিমান বৈদেশীক মুদ্রার সাশ্রয় হবে তেমনি বাংলা ভবিষ্যতে এসব অস্ত্র আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন উন্নয়শীল দেশে রপ্তানি করতে পারবে যা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password