আ. লীগের প্রার্থীর ছেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

আ. লীগের প্রার্থীর ছেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের মেরকুটা গ্রামে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এক প্রার্থীর ছেলে শিক্ষানবীশ আইনজীবীর ওপর শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত ওই শিক্ষানবীশ আইনজীবীকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গ্রামের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী স্থানীয় ব্যবসায়ী রহিম মিয়ার ছেলে শিক্ষানবীশ আইনজীবী তামিম আহমেদ (৩০) এর ওপর পূর্ব বিরোধের জের ধরে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে হামলা চালায় একই গ্রামের যুবলীগ নেতা আলমগীর ও তার সশস্ত্র লোকজন। হামলাকারীরা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ওই আইনজীবীকে গুরুতর জখম করে।

পরে হামলায় আহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত শিক্ষানবীশ আইনজীবী তামিমকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।

স্থানীয় জিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রউফ জানান, রহিম মিয়া ও আলমগীরের দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও মামলা মোকদ্দমা চলছিল। এরই জের ধরে এ হামলা হয়েছে বলে শুনেছি।

এদিকে আহত তামিমের বড় ভাই নাজমুল হোসেন বলেন, 'হামলাকারী আলমগীর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে আওয়ামী লীগ নেত্রী স্বপ্না হত্যাসহ বহু মামলার আসামি। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আমার বাবা নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় আলমগীর আমাদের পেছনে লেগেছে। সে আমাদের কাছে সম্প্রতি মোটা অংকের চাঁদাও দাবি করেছে।'

তবে জিনোদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া (হত্যা মামলার আসামি হওয়ায়) আলমগীর হোসেন বলেন, 'চাঁদা চাওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। মূলত রহিম মিয়ার পরিবারের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও মামলা রয়েছে। এর জের ধরে রহিম মিয়ার ছেলের শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আমার বোন ও আমার ওপর প্রথমে রাস্তায় হামলা করে। এরপর আমাদের বিক্ষুব্ধ লোকজন পাল্টা হামলা করে।'

নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক রাজীব দাস বলেন, 'ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এটি দুই পরিবারের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।'

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password