দেশের বৃহৎ পাইকারি ও খুচরা পোশাক মার্কেট বঙ্গবাজারে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে পোড়া মার্কেটটির আশপাশের ফুটপাতে বসেই বেশ কয়েকজন বেচাকেনা শুরু করেছেন। এর মধ্যেই কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার থেকেই বঙ্গবাজারে চৌকি পেতে ব্যবসা করার সকল ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশন বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে ১৭ বর্গফুট বা ৫ ফুট বাই ৩ ফুট চৌকি বসানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কিছু নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। চৌকি পেতে বসা নিয়েও হতাশা কাটছে না ব্যবসায়ীদের। বঙ্গবাজার মার্কেটটিতে যারা দ্বিতীয় তলায় ব্যবসা করতেন তারা কী করবেন, এ প্রশ্নই এখন তাদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্কেটির স্থানে সকল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর বসার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই।
ইতিমধ্যে অনেকেই ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করেছেন। সে ক্ষেত্রে মার্কেটটির পাশঘেঁষা রাস্তাটিতে অস্থায়ীভাবে বসতে পারলে সকল ব্যবসায়ী ছোট ছোট চৌকি বসিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন। ঈদের আগে পাঁচ ফুট জায়গায় ব্যবসা করতে পারার খবর শুনে অনেকের মনেই কিছুটা স্বস্তি এসেছে।
আপাতত এই ঈদে বঙ্গবাজারে পাঁচ ফুট জায়গা নিয়েই স্বপ্ন দেখছেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা। এদিকে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া মালামাল সরানোর কাজ চলছে হরদম। ঈদ মৌসুমে এমন একটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকেই ধার-দেনা ও নিজের সকল পুঁজি খরচ করেই ঈদবাজারে ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ করেছেন এই বঙ্গবাজার মার্কেটিতি।
এককথায় বঙ্গবাজারে সর্বগ্রাসী এই আগুনে সব হারিয়ে পথে বসার মতো অবস্থা ব্যবসায়ীদের। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মার্কেটিতে দোকান থাকা ব্যবসায়ীদের সাথে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই এলাকার বেশ কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও। পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠানই বাকিতে এ সকল ব্যবসায়ীর কাছে মালামাল সরবরাহ করতেন। এই দুর্ঘটনায় তারাও এখন অসহায়। ঈদের আগে তাদের পাওনা পরিশোধ অনিশ্চিত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন