সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের মধ্যে আশংকাজনক ভাবে কোভিড-১৯ শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় পাঁচটি ক্যাম্পে কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন। ২০শে মে, ২০২১ থেকে ৩১শে মে, ২০২১ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া পাঁচটি ক্যাম্প লকডাউনের নির্দেশনা আসার আগের ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে রেকর্ড ২৬ জন রোহিঙ্গার শরীরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ায় এ নির্দেশনা জারি করেছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব শাহ রেজওয়ান হায়াত।
লকডাউনের প্রথম দিনেও নতুনভাবে রেকর্ড ৪৫ জনের শরীরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। কঠোর লকডাউনের আওতায় রয়েছে কুতুপালং ক্যাম্প-২W, ৩, ৪, ১৫ ও ২৪। লকডাউনের সময় ক্যাম্পগুলোতে জরুরী সহায়তা কার্যক্রম ছাড়া বাকি সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন। জরুরী সহায়তা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য সেবা, খাবার বিতরণ ও গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকবে।
তবে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্পগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শেল্টার কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এনজিও সংস্থার কর্মীদের ক্যাম্পে যাতায়ত করতে কোভিড রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন গাড়ি ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাক্স পড়া ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে কঠোর নির্দেশ দেন।
করোনার এমন পরিস্থিতিতেও জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভ্যাক্সিন কার্যক্রম পরিচালনা না করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে অনতিবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা, ক্যাম্প অভ্যান্তরে ICU ও HDU প্রকল্প তৈরি করা, আসোলেশন সেন্টার ও কোয়ারেন্টাইন প্রকল্প বৃদ্ধি করারসহ রোহিঙ্গাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পোস্টার তৈরি কার্যক্রম বাড়ানোর নির্দেশ দেন এনজিও সংস্থা গুলোকে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন