নওগাঁয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ওপর ডাকাতি: তিনজন গ্রেফতার, লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার

নওগাঁয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ওপর ডাকাতি: তিনজন গ্রেফতার, লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার

নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কার, রুপা ও নগদ অর্থ লুণ্ঠনের ঘটনায় তিনজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় লুণ্ঠিত মালামালের একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার (বিপিএম) ডাকাতদের গ্রেফতার ও উদ্ধারকৃত মালামালের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আত্রাই থানাধীন আহসানগঞ্জ হাটের পার্শ্বে ৫ সদস্যের একটি ডাকাত দল নান্টু কুমার প্রামানিক নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পথরোধ করে। তারা তার ওপর হামলা চালিয়ে তার ব্যাগ থেকে স্বর্ণ, রুপা ও নগদ টাকা লুট করে নেয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নান্টু কুমার প্রামানিক আত্রাই থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারের নির্দেশনায় একাধিক পুলিশ টিম তদন্ত শুরু করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে, ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য আত্রাই উপজেলার মালিপুকুর গ্রামের তালেব মন্ডলের ছেলে রেজাউল মন্ডল (৩০) এবং তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে নান্টুর কাছ থেকে মালামাল লুট করে।

পুলিশ জানায়, নওগাঁ সদর উপজেলার বজরুক আতিয়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে আজাদুর রহমান (৪৭), শেরপুর গ্রামের মৃত আসাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪২) এবং আত্রাই উপজেলার মালিপুকুর গ্রামের তালেব মন্ডলের ছেলে রেজাউল মন্ডল (৩০) মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে এসে নান্টুকে আঘাত করে এবং তার ব্যাগ থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে। এ ঘটনার পর নওগাঁ জেলা পুলিশ রাজশাহীর পুঠিয়া, নওগাঁর মহাদেবপুর ও আত্রাই থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজন ডাকাতকে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পুলিশ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, নতুন কেনা আরেকটি মোটরসাইকেল, একটি স্বর্ণের চেইন ও ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। তবে লুট হওয়া ৩০ লক্ষ টাকার সম্পূর্ণ মালামাল এখনো উদ্ধার হয়নি। বাকিটা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত আজাদুর রহমানের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ১৯টি এবং রেজাউল মন্ডলের বিরুদ্ধে ৩টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং দ্রুত বাকি লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) গাজিউর রহমান (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) ফারজানা হোসেন, নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password