কারো হাতে ভাড়ি বোঝা আর কারো কাঁধে শিশু, কারো মাথায় আবার বিশাল আকৃতির বস্তা। এসব নিয়েই ফ্লাইওভার এর উঁচু রেলিং পার হয়ে যাত্রীদের নামতে হচ্ছে রাস্তায় এর পর ভাড়ি জানিস পত্র নিয়ে শত শত মানুষ পায়ে হেঁটে চলছে নিজ গন্তব্যে। পথচারী সব যাত্রীদের গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিলো যান বাহনে করে কিন্তু সড়ক ভাঙ্গা চুড়া হওয়ায় সেখানে চলছে না কোন যান বাহন।
সম্প্রতি শুরু হয়েছে মেরামতের কাজ এ চিত্র রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মেয়র মোঃ হানিফ ফ্লাইওভার এর নিচের সড়কের যাত্রীদের অভিযোগ ফ্লাইওভার চালুর পর থেকেই গত ৮ -১০ বছর ধরে নিচের সড়কের এই বেহাল দশা কয়েক মাস ধরে পুরো সড়কি বন্ধ রয়েছে তাই যাত্রাবাড়ী , ডেমরা,সহ পুরান ঢাকার লাক্ষ লাক্ষ মানুষ কে ফ্লাইওভার এর প্রবেশ মুখে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়।
ফ্লাইওভার এর নিচের যাত্রাবাড়ীর মোড়ের দৃশ্য আরো ভয়াবহ পুরো সড়ক ভাঙ্গা চুড়া আর অসংখ্য গর্তে ভরা। ২০১৩ সালে যাত্রাবাড়ী ও গুলিস্তান এলাকার জানজট নিরসনের জন্য খুলে দেওয়া হয় মেয়র মোঃ হানিফ ফ্লাইওভার তবে খুলে দেওয়ার পর গত ১০ বছর ধরে এই ফ্লাইওভার এর নিচের অংশের বেশীরভাগ সড়কি কাঁচা বাজারে পন্য রাখার স্থান ও বিভিন্ন গাড়ী রাখার স্থান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
আর যতটুকু সড়ক ব্যবহার এর উপযোগী রয়েছে তার বেশীর ভাগ অংশ গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন গর্ত ও ভাঙ্গা চুড়া অবস্থায় রয়েছে। এখানকার স্থানীয়রা বলছেন যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার চালু হলেও গত ১০ বছর ধরে তার কোন সুফল পান নি তারা। ফ্লাইওভার এর নিচের গুলিস্তান অংশতেও পুরোপুরি জুতার মার্কেটে পরিনত হয়েছে পুলিশ এর সামনেই পুরো একটি ব্যস্ত সড়ক ব্যারিকেট দিয়ে শত শত হকার সেখানে দোকান সাজিয়ে বসেছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গার উড়াল সড়ক বা ফ্লাইওভার চালুর পর তার নিচের রাস্তা দখল করে তা এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আসছে। তবে সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে রাজধানীর এই মেয়র মোঃ হানিফ ফ্লাইওভার চালুর পর গুলিস্তান অংশে এখানে ফ্লাইওভার চালুর পর গত কয়েক বছর ধরে দোকান ও অসংখ্য বাসের কাউন্টার দিয়ে এই এলাকার ফ্লাইওভার এর নিচের অংশ দখল রাখা হয়েছে।এর জন্য গত ১০ বছর ধরে গুলিস্তান এর এই সড়ক টি বন্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ যানজট নিরসনের জন্য ফ্লাইওভার করা হলেও নিচের রাস্তা ব্যবহার করতে না পারায় যানজট তা আরো বেড়েছে। তুলনামূলক কিছুটা ব্যবহার উপযোগী আছে মিরপুরের কালশি ,কুড়িল বিশ্বরোড ও খিলগাঁও ফ্লাইওভার এর নিচের সড়ক।তবে উত্তরা ও টঙ্গীর উপর দিয়ে নব নির্মিত এ্যালিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির নিচের আবদুল্লাহ পুর ও টঙ্গী স্টেশন রোড এর সড়কের অবস্থাও বেহাল।
ভাঙ্গা চুড়া সেতু সড়কে কোন মতে গাড়ী চলতে পারলেও আগের চেয়ে সড়কের সক্ষমতা কমেছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। ফ্লাইওভার এর নিচের সড়ক দখলের জন্য নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে এ জেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট কে দুষছেন ঢাকার দুই মেয়র। আর ভাঙ্গা চুড়া সড়ক মেরামতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহ হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকার দুই মেয়র।
ফ্লাইওভার এর নিচের সড়ক উদ্বার না করে টোল বেশি আদায় করার জন্যেই নিচের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী করে রাখা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে ভারত,মালয়েশিয়া ও চীন সহ এশিয়ার মধ্যে ফ্লাইওভার নির্মাণের সবচেয়ে বেশি ব্যায় বাংলাদেশের।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন