৯৯৯ নম্বরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ফোন, ধর্ষনকারী গ্রেফতার

৯৯৯ নম্বরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ফোন, ধর্ষনকারী গ্রেফতার

ফেসবুকে পরিচয় একই এলাকার নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীর সঙ্গে। পরে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে সেই কিশোরীকে। এক পর্যায়ে ছবি ফটোশপে বিকৃত করে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করতো স্থানীয় বখাটে জাহাঙ্গীর। এক সময় বাসায় একা পেয়ে দুবার ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। তৃতীয়বারে এসে প্রতিরোধ গড়ে ১৪ বছর বয়সী মেয়েটি। ধর্ষকের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে তাৎক্ষণিক ট্রিপল নাইনে ফোন করে সাহায্য চায় মেয়েটি। ৯৯৯ চট্টগ্রাম নগরীর ডাবল্মুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর কথা বলিয়ে দেয়। এরপর পুলিশ গ্রেফতার করে ধর্ষক জাহাঙ্গীরকে।

১২ জুলাই সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া জাহাঙ্গীর কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মহনপুর গ্রামের মো. ওয়াহিদের ছেলে। নির্যাতনের শিকার মেয়েটি বলেন, আমার ফেসবুক থেকে ছবি নিয়ে এডিট করে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করা চেষ্টা করে। তাতেও আমি সাড়া না দেওয়ায়, একদিন ঘরে একা পেয়ে আমার ওপর সুযোগটা নেয় সে। টিভিতে দেখে এবং নানাভাবে জেনে ট্রিপল নাইনের প্রতি আস্থা রাখে কিশোরী। লোকলজ্জার ভয়ে বাবা-মাকেও নির্যাতনের বিষয়টি জানায়নি সে। ভরসা রাখে ৯৯৯ এর প্রতি।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ফল ব্যবসায়ী এবং মা গার্মেন্টস কর্মী। তার বাবা-মার অনুপস্থিতিতে জাহাঙ্গীর ঘরে এসে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় চিৎকার করলে ভিকটিমের ছবি নগ্নভাবে এডিট করে দেখায়। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। ছাত্রী ভয়ে এ ঘটনা কাউকে জানায়নি। কিছু দিন পর জাহাঙ্গীর আবার বাসায় আসলে ওই ছাত্রীর তার মুখে মরিচের গুঁড়ো মেরে নিজেকে রক্ষা করে। পরে আরো একাধিকবার মরিচের গুঁড়ো মেরে নিজেকে রক্ষা করে। মরিচের গুঁড়ার ভয়ে কাছে ঘেঁষতে না পারায় জাহাঙ্গীর অন্যভাবে শিশুটিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। তখন রবিবার রাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password