অপারেশন চলাকালে ভায়োলিন বাজাচ্ছে রোগী

অপারেশন চলাকালে ভায়োলিন বাজাচ্ছে রোগী

অপারেশন চলাকালে ভায়োলিন বাজিয়ে আলোচনায় এসেছেন যুক্তরাজ্যের রোগী ড্যাগমার টার্নার। এই দৃশ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। তবে তিনি নিজে থেকে নয়, সার্জনদের পরামর্শে জটিল এই মুহূর্তে ভায়োলিনে সুর তুলেছিলেন।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে ৫৩ বছর বয়সী টার্নারের অস্ত্রোপচার চলাকালে বিরল এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়।টিউমার অপসারণকালে টার্নারের ভায়োলিন বাজানোর সক্ষমতা কার্যকর আছে কি না, তা নিশ্চিত হতেই এ নির্দেশ দিয়েছিলেন সার্জনরা।

টার্নারের টিউমারটি হয়েছিল তার কানের ঠিক সামনের অংশে। আর জায়গাটি ছিল মস্তিষ্কের খুবই কাছাকাছি। চিকিৎসকরা বলেছেন, টার্নারের যে জায়গায় টিউমারটি হয়েছিল ওই জায়গাটি ভায়োলিন বাজানোর সক্ষমতা তৈরির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।মস্তিষ্ক থেকে ‘ক্রেডিট কার্ড দূরত্বে’ ছিল টিউমারটি। অস্ত্রোপচার করে টিউমারের ৯০ শতাংশ অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা।

অস্ত্রোপচারের পর ড্যাগমার টার্নার এক অনুভূতিতে বলেন, ‘ভায়োলিন বাজানোর প্রতি আমার প্রচণ্ড ঝোঁক রয়েছে। যখন আমার বয়স ১০ বছর তখন থেকে হাতে তুলে নিয়েছি ভায়োলিন। তাই অস্ত্রোপচারের আগে যখন ভেবেছিলাম, আমি বোধহয় আর ভায়োলিন বাজাতে পারব না, ওই সময়টা ছিল আমার হৃদয়ভঙ্গের সমান। আশা করি, আমি আবার আগের মতো ভায়োলিন বাজাতে পারব।’

অস্ত্রোপচারের সময় রোগীকে দিয়ে ভায়োলিন বাজানোর সৃজনশীল এই পরিকল্পনাটা প্রথম মাথায় আসে নিউরোসার্জন ড. কিওনমার্স আশকানের। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর প্রায় চারশোর মতো টিউমার অপসারণ করে থাকি। সচেতন অবস্থায় মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সময় আমরা শুধু দেখি, রোগী কথা বলতে পারছে কি না। তবে আমার দেখা টার্নারই প্রথম কোনো রোগী যে কি না অস্ত্রোপচারের সময় ভায়োলিন বাজিয়ে দেখাল।’
ভায়োলিন বাজানোর সময় টার্নারের মস্তিষ্কের কোন অংশটি সক্রিয় থাকতে তা নির্ণয় করতে অস্ত্রোপচারের আগে দুই ঘণ্টা সময় কাটিয়ে দেন সার্জনরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টার্নারের ভায়োলিন বাজানোর সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রেখেই ৯০ ভাগ টিউমার অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের তিন দিন পর বাড়ি ফিরে যান টার্নার।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password