২০১০ সালে সংসদে উল্টাপাল্টা বলেও এক মাসের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছিলেন আউয়াল। সংসদে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘যেহেতু আমি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীকে হারিয়েছি তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়েও জনপ্রিয়।’
আউয়াল পিরোজপুর-১ আসন থেকে নবম ও দশম জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুই যুগ ধরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। স্ত্রী লায়লা পারভীন মহিলা লীগের সভানেত্রী। তাঁর এক ভাই মজিবুর রহমান খালেক পিরোজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, আরেক ভাই হাবিবুর রহমান মালেক পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র এবং সবার ছোট ভাই মশিউর মহারাজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবহন সেক্টরের। মশিউর জেলা বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি এবং পিরোজপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি। আউয়াল এবং তাঁর স্ত্রী আর চার ভাইয়ের হাতে এত দিন ছিল এলাকার সব উন্নয়নকাজের চাবিকাঠি।
তাদের দুর্নীতিতে অতিষ্ট হয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি তাকে সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেননি। আওয়ামী লীগ করলেও প্রধানমন্ত্রী তাকে ভালো চোখে দেখেননা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন