সাত কলেজের আন্দোলনে ফের উত্তাল নীলক্ষেত মোড়

সাত কলেজের আন্দোলনে ফের উত্তাল নীলক্ষেত মোড়
MostPlay

ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন, একসঙ্গে সব বিভাগের ফলাফল প্রকাশসহ চার দফা দাবিতে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় নীলক্ষেত মোড়ে তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়া শুরু হয়। কলেজগুলা  হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

তবে ঢাবি অধিভুক্ত করার পর ঢাকার সেরা ৭ টি কলেজের পড়াশুনার মান বৃদ্ধির তো দূরে থাক,নানা অব্যবস্থাপনা, অবহেলা ও তাল-বাহানা শুরু করে ঢাবি প্রশাসন। পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে সাত-কলেজবাসী। এছাড়াও পরীক্ষা রেজাল্ট নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। পরীক্ষা নেওয়ার পর এক-থেকে দেড় বছর পর রেজাল্ট পাওয়া যায়। ফলে সেশনজট যেন সাত কলেজের নিত্যকার সঙ্গী। পরীক্ষার খাতা অবমূল্যায়ন করা হয় সাত কলেজের পরীক্ষার্থীদের।সাত কলেজকে গণহারে ফেইল করা যেন ঢাবির একটা আর্ট। অথচ ঢাবি-অধিভুক্ত হওয়ার আগে বাংলাদেশের মধ্যে রেজাল্টে ১ম সারির দিকে থাকত। এছাড়াও ফর্ম ফিল আপ করা থেকে প্রতিটা প্রশাসনিক কাজে ভোগান্তির শেষ নেই। এতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রীতিমতো বাকরুদ্ধ।কবে এই ভোগান্তির হবে শেষ।

 শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পরীক্ষা নেয়ার পর এক থেকে দেড় বছর পর সব বিভাগের ফলাফল পাওয়া যায়। ফলাফল প্রকাশ হলেও একসঙ্গে সব বিভাগের ফলাফল পাওয়া যায় না, ফলে সেশনজট যেনো সাত কলেজের নিত্য সঙ্গী। পরীক্ষার খাতা অবমূল্যায়ন, গণহারে ফেল যেনো নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢাকা কলেজের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী আবু হায়দার বলেন, ২০১৫-২০১৬ সেশনের ইংরেজি বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষে ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। তিতুমীর কলেজের ২৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৩ জন ফেল, ইডেন মহিলা কলেজের ২১০ জনের মধ্যে ১৭৫ জন ফেল, সরকারি বাংলা কলেজের ১১৬ জনের মধ্যে ৯২ জন ফেল, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন ফেল করেছেন। আরো অন্যান্য বিভাগেতো আছেই। এত বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে কোনো কারণ কলেজ প্রশাসন দেখাতে পারছে না। আমরা চাই খাতাগুলোর আবারও মূল্যায়ন করা হোক। 

শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি হলোঃ

১/ চতুর্থবর্ষের অকৃতকার্য খাতাগুলো পুনর্মূল্যায়ন করা হোক প্রয়োজনে সেটা দ্বিতীয় পরীক্ষক দ্বারা মূল্যায়িত হোক। অথবা উক্ত বিষয় বিশেষ পরীক্ষা নেয়া হোক ১০ দিনের মধ্যে।

২/ সাত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ঢাবির শিক্ষক কতৃক ক্লাস মনিটরিং ও বই লেখা হোক। 

৩/ ছাত্র-ছাত্রীদের যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নিজ নিজ কলেজে রাখা হোক।

৪/ সব বিভাগের রেজাল্ট একসঙ্গে প্রকাশ করা হোক এবং বাকি বিভাগগুলোর ফলাফল আগামী ১০ দিনের মধ্যেই প্রাকাশ করা হোক।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password