এনজিও কর্মীর কব্জি কেটে ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার

এনজিও কর্মীর কব্জি কেটে ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার

নরসিংদীতে এনজিও কর্মীর হাতের কব্জি কেটে ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূলহোতা রুবেল ও বাদশাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা। এ সময় ছিনতাই হওয়া টাকার মধ্যে ১ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা, ১টি গেঞ্জি, ১টি ক্যাপ (টুপি) ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র‌্যাব-১১ এর সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।এর আগে সকালে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নরসিংদীর মাধবদী বাসস্ট্যান্ড থেকে রুবেল মিয়া (২১), আবদুল কালা মিয়া ওরফে বাদশা মিয়া (২২), মাহাবুবা আক্তার মেরিনা (২২) ও মিঠি বেগমকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়- গত ১৫ ডিসেম্বর এনজিও কর্মী শান্তা আক্তার (৩১) নরসিংদী শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়া এলাকা থেকে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করে শহরের বাজিড় মোড়ের অফিসে ফিরছিলেন। ফেরার সময় গ্রেফতারকৃত আসামি রুবেল মিয়া ও বাদশা মিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন পশ্চিম কান্দাপাড়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনে ওতপেতে থেকে এনজিও কর্মীর রিকশার গতিরোধ করে তার কাছে থাকা (২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা) ভর্তি ব্যাগ টাকা রুবেল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

তখন এনজিও কর্মী তার টাকার ব্যাগটি ধরে রাখতে চাইলে তার সহযোগী বাদশা তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে এনজিও কর্মীর বাম হাতে কোপ দিলে তার কব্জি কেটে যায়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় এনজিও কর্মীকে ফেলে রেখে টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে কৌশলে পালিয়ে যায়। তারা নরসিংদী সদর থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়ায় রুবেলের শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করে থাকে। রুবেল ও বাদশা ওই বাসায় এনজিও কর্মীর ভ্যানিটি ব্যাগটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের সিসি ক্যামেরায় উক্ত ছিনতাইয়ের দৃশ্য ধারণ হয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হলে দেশব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনায় আশা এনজিও কর্মীর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ইসমাইল শিকদার বাদী হয়ে নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর থানায় একটি দস্যুতা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী এবং বিভিন্ন অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের মধ্যে রুবেলের নামে ৪টি, বাদশার নামে ৮টি এবং মিঠি বেগমের নামে ২টি মামলা চলমান রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া আসামি রুবেল মিয়া ও বাদশা মিয়া ওই এনজিও কর্মীর হাতের কব্জি কাটা ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের নরসিংদী সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হবে বলে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম  জানান।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password