প্রেম করে বিয়ের ৬ মাসেই স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে  স্ত্রী রুপালী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ শহরের আলকাছ মিয়ার পাথর ঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুপালী আশুগঞ্জের লিটন মিয়ার মেয়ে। এই ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

নিহতের বাবা অভিযোগ করে বলেন, ৬ মাস আগে আশুগঞ্জের বড় মসজিদ রোডের ফারুক মিয়ার ছেলে অটোচালক সোহাগ মিয়ার সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী সোহাগ মিয়া ও আমার মেয়ে রুপালীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হত। শনিবার দুপুরে তাদের মধ্যে পুনরায় ঝগড়া হলে বিকেলে আমার মেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি চলে আসে এবং রাতে বিষপান করে। আমরা টের পেয়ে রুপালীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ১০-১৫ মিনিট পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

তিনি আরো বলেন, আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

আশুগঞ্জ থানার এসআই শ্রীবাস দাশ জানান, আমরা রুপালীর লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। মেয়ে পরিবার থেকে অভিযোগ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।