চুল পড়া বন্ধসহ অনেক উপকারী এ ফুলগাছের পাতা

চুল পড়া বন্ধসহ অনেক উপকারী এ ফুলগাছের পাতা
MostPlay

ভৃঙ্গরাজ একটি ভেষজ লতা। এটা সাধারণত ফুলগাছ হিসেবেই পরিচিত। এর পাতা কটুতিক্ত ও হালকা কষস্বাদযুক্ত। ফলে স্বাভাবিকভাবে এটি পিত্ত ও শ্লেষ্মা, বিকার, কফের ওপর ভালো কাজ করে। এর ওষুধী গুণাগুণ ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে তুলে ধরেছেন।

বিডি টাইপের পাঠকদের উদ্যেশ্যে সেগুলো তুলে ধরা হলো- ১) সূর্যোদয়ের পর অনেকের মাথায় যন্ত্রণা হয় বা আধকপালে ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে ভৃঙ্গরাজের পাতার রস মাথায় মাখলে উপশম হয়। ২) মাথার চুল ওঠায় এই পাতার রস দুপুরে মাথায় লাগালে অথবা রস দিয়ে তেল পাক করে ব্যবহার করলেও চুল পড়া বন্ধ হয়।

৩) নারীরা শ্বেত প্রদরের শিকার হলে প্রায়ই মাথার চুল উঠে যায়, সেক্ষেত্রে ভৃঙ্গরাজের পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে দিনে দুইবার মাথা ধুলে ৩/৪ দিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়। ৪) চোখ উঠে পুঁজ জমলে ২০/২৫ ফোঁটা ভৃঙ্গরাজের রস পানিতে মিশিয়ে এ পানি দিয়ে চোখ ধুলে এটি সেরে যাবে।

৫) পাইরিয়া হলে ভৃঙ্গরাজের পাতার গুঁড়া করে মাজনের মত ২/৪ মিনিট ব্যবহার করলে দোষটি সেরে যায়। এছাড়াও এতে মাড়ি শক্ত হয় এবং মাড়িতে কোন ঘা থাকলে পাতার ক্বাথ দিয়ে কয়েকটি দিন মুখ ধুলে সেরে যায়। ৬) গুঁড়া কৃমির উপদ্রব হলে এর পাতার রস পূর্ণবয়স্কদের জন্য এক চা চামচ এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খেলে উপদ্রব কমে যায়। ৭) অজীর্ণ মল, তার সঙ্গে আমও আছে, এরকম ক্ষেত্রে ২৫/৩০ ফোঁটা ভৃঙ্গরাজ পাতার রস প্রতিদিন আধা কাপ ছাগলের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ভালো হয়। ৮) ভৃঙ্গরাজ পাতার রস মাথায় মাখলে উকুন মরে যায়।

৯) রক্তে শ্বেত কনিকা বেড়ে গেলে ২৫/৩০ ফোঁটা এই পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে স্বাভাবিক হয়ে আসে। ১০) দাঁতে ভৃঙ্গরাজ রসের প্রলেপ দিলেও বেশ উপকার হয়। পরিচিতি : ভৃঙ্গরাজ একটি ছোট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। স্থানভেদে কখনও ভুলুণ্ঠিত হয়। এটির ফুল হলুদ হয়। ভৃঙ্গরাজের আরও তিনটি প্রজাতি লক্ষ্য করা যায়। একটির ফুল নীল, একটির সাদা এবং অন্যটির ডাঁটা একটু লালচে, ৩.৪ সে.মি. থেকে ৯.৫ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়।

ডাঁটা রসালো, নরম, সূক্ষ্ম লোমশ ও দ্রুত বাড়ে। বর্ষাকালে হলুদ রংয়ের ফুল হয় এবং শরৎকালে ফল হয়। এ ডাঁটার প্রতি গিরা থেকে দুটি করে বিপরীতমূখী পাতা বের হয়। পাতা ৪.০ থেকে ৮.০ সে.মি. লম্বা এবং ১.২ থেকে ২.০ সে.মি. পর্যন্ত চওড়া হয়। পাতার কিনারা হালকা খাঁজকাটা। পাতার আকৃতি লম্বাটে বর্ষাকৃতি, অমসৃণ ও খসখসে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password