এ যেনো পুরোই এক ভিন্নধর্মী কোচিং সেন্টার

এ যেনো পুরোই এক ভিন্নধর্মী কোচিং সেন্টার

কোনো কিছু করার চেষ্টাই তাকে সেই কাজটি সফল করতে সাহায্য করে। এই উক্তিটি যেনো পুরোপুরি প্রতিফলিত হচ্ছে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামে অবস্থিত "অক্সফোর্ড কোচিং সেন্টার" নামক এক ভিন্নধর্মী কোচিং সেন্টারের কর্মকান্ডে।

উক্ত কোচিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোঃ হুমায়ন বিশ্বাসের পুরো ভাবনা জুড়েই সর্বদা যেনো থাকে মানুষের সেবা করার, সাহায্য করার।
পূর্বে কিছু সাহায্য করলেও করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই সেটি যেনো আরও কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। 

এইতো ২০২০ সালের কথা যখন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)  প্রথম দেশে হানা দিলো সারাদেশ লকডাউন করা হলো সব মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়লো ঠিক সেই মূহুর্তে এই কোচিং সেন্টারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২০০ জন মানুষকে প্রায় ১ সপ্তাহের খাবার বিতরণ করা হয়। এবং ছোটো খাটো সাহায্য চলতেই থাকে।
সেটা তো গেলো ২০২০ সালের কথা। 
করোনা মহামারী ২য় ঢেউ শুরু করলো ২০২১ সালে এসে আবার করা হলো লকডাউন। মানুষ আবার কর্মহীন হতে শুরু করলো। তারপর আবার রমজান মাস। 
এসব দেখে বসে থাকে নি অক্সফোর্ড কোচিং সেন্টার বা তার স্বত্বাধিকারী। পুরো রমজান মাস জুড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০০ জনের মাঝে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। শুধু ইফতার বিতরণ করেই শেষ হয় নি ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে প্রায় ১০০ টি পরিবার কে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। 

এসব সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলাম উক্ত কোচিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোঃ হুমায়ন বিশ্বাসের সাথে। 
তিনি জানান,  আসলে এই করোনা ভাইরাস বা লকডাউন কারও জন্যই কাম্য নয়। এটা কারও জন্যই শুভ নয়। এই লকডাউনে কর্মহীন মানুষের দিন যাপনের কথা শুনলে গা শিউরে ওঠে। আমি সেই সব কথা শুনে বা নিজ চোখে দেখে আমার মনকে স্থির রাখতে পারি নাই। যার ফলশ্রুতিতে আমার এই ছোট্ট উদ্যেগ। আশা করি সামনে আরও বড় বড় উদ্যেগ করব ইনশাআল্লাহ। আমি চাই সারাদেশের সকল মানুষ নিজ নিজ স্থান থেকে যতোটা পারে এসব গরীব মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিত।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password