নওগাঁ জেলার পোরশায় স্ত্রী কতৃক স্বামীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ জুলাই দিবাগত রাতে উপজেলার নিতপুর শোভাপুর সাকোদিঘি গ্রামে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ২৪ জুলাই দিবাগত রাতে লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা আফাজ উদ্দিন বাদি হয়ে রোববার পোরশা থানায় একটি এজাহার করেছেন বলে তিনি জানান।

জানা গেছে, ১২বছর পূর্বে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার জীবনপুর গ্রামের আফাজদ্দিনের ছেলে সমির(৪৮) এ-র সাথে পোরশা উপজেলার নিতপুর মাস্টার পাড়ার সাদেম আলীর মেয়ে আছিরনের বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে তিনটি সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে তারা নিতপুর শোভাপুর সাকোদিঘি গ্রামে নতুন বাড়ি তৈরী করে সেখানে বসবাস করতে শুরু করেন।

এরইমধ্যে আছিরন গত ২২দিন পূর্বে মহাদেবপুর উপজেলার জনৈক জিয়া নামে এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ার টানে পালিয়ে যান। ফলে সমির তার শিশু ছেলে-মেয়েদের নিয়ে একাই ওই বাড়িতে থাকতেন।

হঠাৎ করে ২৩ জুলাই রাতে একজন মহিলা সহ ২/৩জন ব্যক্তি সমিরের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে বলিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলে চলে যায়। এ সময় তার এক ছেলে ও এক মেয়ে ঘুমিয়ে ছিল এবং বড় ছেলে সিফাত (৯) জেগে ছিল বলে জানা গেছ। সে সময় সিফাতকে ভয়ভিতি দেখার কারণে সে কোন রকম কথা বলেননি বলে জানান সিফাত।

সমিরকে মেরে চলে যাওয়ার পরে সিফাত গ্রামের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা থানায় খবর দেয় এবং থানা পুলিশ আছিরন ও তার বোন সালেহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

পোরশা থানার পরিদর্শক শফিউল আজম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আছিরনকে জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বামীকে তারা তিনজন মিলে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

তদন্তের স্বার্থে অপর ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছেনা বলে তিনি জানান। লাশ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।