মাদারীপুরে মা বাবাকে হত্যার করে মেয়ের সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক

মাদারীপুরে মা বাবাকে হত্যার করে মেয়ের সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক
MostPlay

মাদারীপুরের কালকিনিতে আলোচিত স্বামী স্ত্রী খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার একমাত্র আসামি আশরাফুল মোল্লা। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেনের আদালতে জবানবন্দি দেন আশরাফুল। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে নড়াইল সদর উপজেলার শৈলপুর থেকে আশরাফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গোপালগঞ্জ জেলার একটি দল। গ্রেফতার আশরাফুল নড়াইল সদর উপজেলার মধ্যপল্লী এলাকার আকবর মোল্লার ছেলে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন গোপালগঞ্জ জেলার এসআই শেখ আল আমিন জানান, সম্প্রতি কৃষি কাজ করতে কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের সস্তাল গ্রামে আসেন অপরিচিত কয়েকজন যুবক। পরে একই এলাকার এক কৃষকের মেয়ের দিকে কুনজর পড়ে আশরাফুলের। এতে বাঁধা দেন কৃষক দম্পতি। পরবর্তীতে তাদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ এপ্রিল প্রথমে কৃষক মোয়াজ্জেম সরদারকে ডেকে নিয়ে তোয়ালে দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখেন আশরাফুল।

এরপর তার স্ত্রী মাকসুদা বেগমকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে একইভাবে হত্যা করেন তিনি।এদিকে, কৃষক দম্পতিকে নিখোঁজ দাবি করে কালকিনি থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন স্বজনরা। নিখোঁজের চারদিন পর ৯ এপ্রিল রাজারচরের শুকিয়ে যাওয়া একটি খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মামলাটির দায়িত্ব পিবিআইকে দেয়া হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ১৩ দিন পর নড়াইল থেকে এ ঘটনার প্রধান পরিকল্পনাকারী আশরাফুলকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

এ সময় নিহত স্বামী স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। পিবিআই জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক অপরাধ করেন আশরাফুল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে। কৃষক দম্পতির মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। স্বামী স্ত্রীকে হত্যার পর রাতেই তাদের মেয়ের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে ভোরে পালিয়ে যায় আশরাফুল। এ ঘটনায় শুধু আশরাফুল একাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password