বিচার দিলাম আল্লাহর কাছে,হস্তক্ষেপ চাই প্রধানমন্ত্রীর

বিচার দিলাম আল্লাহর কাছে,হস্তক্ষেপ চাই প্রধানমন্ত্রীর
MostPlay

বিচার দিলাম আল্লাহর কাছে আর হস্তক্ষেপ চাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আমাদের সারা জীবনের পুঁজি নি:শেষ করে দিয়ে পথে বসিয়েছে। অর্ধাহারে দিন কাটালেও বলতে পারি না কারও কাছে’- কথাগুলো বলার পর আর কিছুই বলতে পারেননি লাল মিয়া। প্রায় ৩৫ বছরের জীবিকার একমাত্র পথ একটি দোকান হারিয়ে তিনি পাগলপ্রায়। ভেঙে দেয়া শহরের রহমত উল্লাহ মুসলিম ইনস্টিটিউটের নি:স্ব হয়ে যাওয়া অর্ধশত দোকান মালিকের মানববন্ধনে এভাবেই নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

নারায়ণগঞ্জের শতবর্ষী রহমত উল্লাহ মুসলিম ইনস্টিটিউট ভেঙে দেয়ার পর করুণদশায় রয়েছেন প্রায় অর্ধশত দোকান মালিক। আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রহমত উল্লাহ মার্কেট ভেঙে দেয়ায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে জবাব চেয়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে রহমত উল্লাহ মার্কেটের দোকান মালিকদের উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

রহমত উল্লাহ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল চোকদারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান সেন্টু, সহ-সাধারণ সম্পাদক জীবন সরকার, লাল মিয়া ও জামাল হোসেন মিন্টুসহ বিভিন্ন দোকানের মালিকরা।

মানববন্ধনে বাবুল চোকদার বলেন, আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রহমত উল্লাহ মার্কেটে হাত দেয়া যাবে না। আর এ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রায়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের লোকজন বিনা নোটিশে মার্কেট ভেঙে ফেলে। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি, আমাদের অন্য কোথাও জায়গাও দেয়নি। এমতাবস্থায় আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বিপাকে পড়েছি। আমরা এখন কোথায় যাব। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর বিচার চাই এবং তার হস্তক্ষেপ কামনা করি।

সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান বলেন, যেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মার্কেট ভাঙা যাবে না, সেখানে মেয়র আইভী কোন ক্ষমতাবলে মার্কেট ভাংচুর করেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছি। আমাদের কোনো নোটিশ পর্যন্ত দেয়নি। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখলাম সব পরিষ্কার। আমরা এখন কোথায় যাব। আমাদের ছেলেমেয়েরা কী খাবে? মামলায় মেয়র আইভী আমাদের সঙ্গে হেরেছেন। মামলায় জিততে না পেরে এখন শক্তি দিয়ে আমাদের মার্কেট থেকে বের করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।

এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আল আমিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা আইন মোতাবেকই ভবনটি ভেঙেছি। সেখানে আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password