নওগাঁর মান্দায় হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে চারবছর ধরে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

নওগাঁর মান্দায় হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে চারবছর ধরে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় চারবছর ধরে নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মিঠুন চন্দ্র মন্ডল (৩৮) নামে এক বখাটেকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃত বখাটে মিঠুন উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের বলাক্ষেত্র গ্রামের মতিলাল মন্ডলের ছেলে।

বৃহস্পতিবা (১০জুন) বিকেলে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরকে পুঁজি ও নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসছিল বখাটে মিঠুন।

বৃহস্পতিবার (১০জুন) সকাল ১০টার দিকে স্ট্যাম্প ও ভিডিও ফেরত চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত মিঠুন প্রতিবেশি সম্পর্কে দেবর হন।

নিকটবর্তী প্রতিবেশি বলে উভয় পরিবারে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তাদের। সম্পর্কের সূত্র ধরে মিঠুন তাকে মাঝে মধ্যেই নানাভাবে ভোগ করতে কুপ্রস্তাব দিত। একপর্যায়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে একদিন মিঠুন কৌশলে তাকে ধর্ষণ ও এর ভিডিও চিত্র অভিযান ধারণ করে রাখে।

ওই গৃহবধূ আরও জানান, প্রায় চার বছর আগে প্রতিবেশি অন্য মহিলাদের সাথে তিনিও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স নামের একটি বীমা কোম্পানির গ্রাহক হন। বীমার কাগজপত্র তৈরির কথা বলে এ সময় মিঠুন দুইটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেন। পরে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি ও ফাঁকা স্ট্যাম্প জিম্মি করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করতে থাকে। লোকলজ্জায় বিষয়গুলো স্বামীসহ পরিবারের লোকজনের নিকট গোপন রাখেন তিনি।

ভিকটিমের স্বামী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করে আসছিল। জানতে চাইলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তিনি ঘটনাটি এড়িয়ে যেতে থাকেন। সম্প্রতি বিষয়গুলো প্রকাশ করলে ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ভিডিওগুলো উদ্ধারের পরামর্শ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১০জুন) সকাল ১০ টার দিকে সেগুলো ফেরত নেয়ার জন্য গেলে তাকে মারধর করেন পাষন্ড ও লম্ফট মিঠুন। ঘটনায় বখাটে মিঠুনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিরও দাবি জানান তিনি।

মান্দা থানার পরিদর্শক শাহিনুর রহমান জানান, বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে বখাটে মিঠুনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় ভিকটিম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password