ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার আগে লিখে গেলেন মৃত্যুর কারণ

ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার আগে লিখে গেলেন মৃত্যুর কারণ

‘আমি পেকটেন। বলরামও শিকার করেছে। আমি আত্মহত্যা করছি। কখন ক্ষমা কর না।’ অর্থাৎ আমি অন্তঃসত্ত্বা। বলরাম তা অস্বীকার করছেন। (এজন্য) আমি আত্মহত্যা করছি। (তাকে) কখনো ক্ষমা করো না।’ এভাবে ভাঙা ভাঙা অক্ষরে নিজ হাতে সুইসাইড নোট লিখে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই সন্তানের জননী এক চাশ্রমিক।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আখাউড়া-সিলেট রেল সেকশনের তেলিয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে।নিহত গৃহবধূ উপজেলার সুরমা চা বাগান মাহজিল ডিভিশনের বলরাম সাঁওতালের স্ত্রী মন্দিরা সাঁওতাল (৩৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই চাশ্রমিক গৃহবধূ তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশনের কাছে একটি লাল ব্যাগ নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা ট্রেন তেলিয়াপাড়া পৌঁছানো মাত্র তিনি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এতে তার মাথা দেহ থেকে দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়ে। মৃত্যুর পর লাল একটি ব্যাগে তার সুইসাইড নোটে উপরের কথাগুলো লেখা দেখা যায়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য লতিফ হোসেন ওই গৃহবধূর লাশ শনাক্ত করে বলেন, ‘সুরমা চা বাগানের মাহজিল ডিভিশনের বলরাম সাঁওতাল দুই বছর আগে মাহজিল এলাকার রমেশ মরমুর মেয়ে ঝর্না মরমুর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বলরাম সাঁওতালের সংসারে তার প্রথম স্ত্রী মন্দিরা সাঁওতালের সঙ্গে তার বনিবনা হতো না। স্বামী ও সতিনের সংসারে চরম বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হন। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’

তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাটি রেলের ওপর হওয়ায় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password