হারুনুর রশিদ খান জিয়াউর রহমানের জাগদল করেছিলো : সিরাজুল ইসলাম মোল্লা

হারুনুর রশিদ খান জিয়াউর রহমানের জাগদল করেছিলো : সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ফাইল ছবি

নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেছেন, আজকের যেই অনুষ্ঠান, এটি আগস্ট মাসের একটি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠান, এই অনুষ্ঠান তো বঙ্গবন্ধুর অনুষ্ঠান। আমরা তো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। তাহলে এখানে এতো বিভাজন কেনো? এতো ভেদাভেদ  আমাদের মধ্যে কেনো? আমি তা খুঁজে পাইনা।

সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকালে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার যোশর বাজারে মরহুম আনোয়ার হোসেন ভূইয়া স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হারুনুর রশিদ সাহেব একজন আওয়ামী লীগ নেতা, আমি উনাকে শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি। আপনারা আমাকে চিনেন জানেন। আমি আমার উপার্জিত অর্থ দিয়ে শিবপুরে রাজনীতি করি। আমি সরকারের অর্থ নিয়ে রাজনীতি করি না। এটাতো আপনারা জানেন। হারুনুর রশিদ খান সাহেব যখন বলে ওনি (সিরাজুল ইসলাম মোল্লা) শিবপুরে আসে কেনো? হের আর শিবপুর আসার দরকার কি? ওনি আমাকে এভাবেই বিভিন্ন মানুষের সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলেন। বলে আমি আওয়ামী লীগের কিছুনা। 

সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান যখন জাগদল করেছিলো। তখন এই হারুনুর রশিদ খান জাগদলে চলে গিয়েছিলো। ইতিহাস কথা বলে। যখন জিয়াউর রহমান মারা গেলো তারপর হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের যুব সংহতির শিবপুর উপজেলার আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। তারপর ১৯৮৬ সালে যখন মহরহুম রবিউল আউয়াল খান কিরন মারা গেছে, তারও একবছর পর হারুনুর রশিদ খান আওয়ামী লীগে আসেন।

তিনি আরো বলেন, শিবপুরের ইতিহাস আপনাদের জানা দরকার। এই সামসুল আলম ভূইঁয়া রাখিল জাতীয় পার্টির জাকির হোসেনের নির্বাচন করেছিলো। হারুনুর রশিদ খান ও সামসুল আলম ভূইঁয়া রাখিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো।

তিনি বলেন, হারুনুর রশিদ খান নাকি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলবেন আমি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছি। আমি বলতে চাই, আমি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচন করি নাই। আমি নির্বাচন করেছি ব্যক্তি মোহনের বিরুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধের শক্তির পক্ষের আমি নির্বাচন করেছি।

সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আওয়ামী লীগের যদি কোন দুর্দিন আসে, আওয়ামী লীগ যদি বিরোধীদল হয়ে যায়, আমি স্পষ্ট বলতে পারি এই হারুনুর রশিদ খানদের কিন্তু আপনারা খুঁজে পাবেন না। যেমনি ভাবে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে জিয়াউর রহমানের জাগদলে চলে গেছিলো।

অনুষ্ঠানে আনোয়ার হোসেন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো: দেলোয়ার হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে নাসিম আহমেদ হিরন, মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম মিতু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম মোল্লা তাজুল, সাধারণ সম্পাদক শেখ কামাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি হাসিবুল আলম বুলু, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সাবেক বাঘাব ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমেদ বাবলু, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক মিয়া, যোশর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান মাষ্টার, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের উপজেলা সভাপতি শাহীন হায়দার পিয়াস। এছাড়াও সভায় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password