নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়ন পরিষদের কাছে একটা খাস জমির তদন্তে যাচ্ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া। যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে বিবিজান মার্ডির ঘরটি দেখতে পান। গাড়ি থামিয়ে নেমে সরোজমিনে দেখে বিবিজানের কুড়ে ঘর। ঠিক ঘর বলা যায়না। ভিতরে পর্যাপ্ত জায়গা নেই...আলো বাতাস চলাচলের তেমন ব্যবস্হা নেই। ঘরের চালের অবস্হাও খুবই ভয়াবহ!
ডাকাডাকি করতেই উঠানের এক কোনা থেকে বেড়িয়ে এলেন৷ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খুব কৌতুহল নিয়ে তার ঘরখানা দেখছিলেন পিঅাইও সাহেব বললেন ভিতরে চলেন স্যার..। উপজেলা নির্বাহী বললেন আপনি এর ভিতরে ঘুৃমান কোথায়? বললেন এর ভিতরে আরেকটা ছোট্ট ঘর আছে। ওর মধ্যে কোনমতে চলে যায়।
বিবিজান বিধবা। মেয়েটির বিয়ে দিয়েছেন। নিজে খেটেখুটে অন্ন যোগাড় করেন। হয়তো এর চেয়ে ভাল ঘরে থাকবার স্বপ্নটাই দেখার ফুসরত পাননি কোনদিন!
এতো গেল তার দুঃখের গল্প। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় এ জীর্ণ ঘরের পাশেই সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে বিবিজানের নতুন বাসগৃহ।
সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে গৃহিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ কর্মসূচির আওতায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ডিজাইন মোতাবেক সেমিপাকা বাসগৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।
মূলত নির্মাণাধীন নতুন গৃহের অগ্রগতি দেখার জন্যই গাড়ি থামিয়েছিলেন।
বিবিজানেরা বাঁচুক সম্মানের সাথে... সাহসের সাথে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ সহযোগিতা নিশ্চয়ই তাদের মনোবল বাড়াবে। তাদের বেঁচে থাকাকে করবে আরো সু্ন্দর ও অর্থবহ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন