সেই ছোট্ট মরিয়মের পাশে ডিএমপি কমিশনার।

সেই ছোট্ট মরিয়মের পাশে ডিএমপি কমিশনার।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি বিবৃতি পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলোঃ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই অসহায় ছোট্ট মরিয়মের পাশে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার(ডিএমপি) মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার)। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিজের চোখের সামনে বাবার মৃত্যু দেখে কেঁদে উঠে অবুঝ শিশু মরিয়ম। বাবার লাশের পাশে তার কান্নার ভিডিও নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে মরিয়মের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেছেন।

ডিএমপি কমিশনার এর পক্ষে আর্থিক সহায়তার নগদ টাকা মরিয়মের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন নওগাঁর পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল মান্নান মিয়া। এ সময় তিনি ওই পরিবারের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। পুলিশ সুপার জানান, ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন ব্যক্তি মরিয়মের পরিবারকে সহায়তা প্রদান করছেন। আগামীতেও পুলিশ পরিবারটির সহযোগিতায় পাশে থাকবে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার চকবিষ্ণুপুর গ্রামের ফজর বিশ্বাসের ছেলে মজিবুর রহমানের শ্বাসকষ্ট আর জ্বর হলে সাপাহার উপজেলায় ডা. হামিদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান। ওইদিন রাত ৯টায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে পোরশা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

মজিবুর রহমানের অবস্থার অবনতি হলে পর দিন রোববার সকাল ৮টায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবারের লোকজন। বেলা সাড়ে ১১টায় চিকিৎসার আগেই মৃত্যু হয় মজিবুরের। এ সময় হাসপাতালের বারান্দায় বাবার মৃতদেহের পাশে বসে কাঁদছিল তার কন্যা শিশু মরিয়ম। বাবার লাশের পাশে ছোট মেয়ে মরিয়মের কান্নার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password