পলাশে আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রান-জয়নাল

পলাশে আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রান-জয়নাল
MostPlay

মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ: জীবে দয়া করে যে'জন সেবিছ ঈশ্বর-চিরনন্দিত বাক্যটি সামনে রেখে দেশ-মাটি ও মানুষের জন্যই, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদের পথচলা। মানুষ বাঁচে তার কর্মে বয়সে নয়। কর্ম যদি ভালো হয় তবেই সে নিজেকে স্থান করে নিতে পারে সকলের হৃদয়ে। আওয়ামী পরিবারের সন্তান সৈয়দ জয়নাল হোসেন-পরিক্ষিত রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের হৃদয়ের মানুষ।

একজন রাজনৈতিক নেতার প্রায় সকল গুণাবলী বিদ্যমান রয়েছে উনার মাঝে। জীবনের ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো যিনি নিজের বা তার পরিবারের চেয়ে?দলের ও  খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের কথা ভেবেছেন। যার সমসাময়িক সহপাঠীরা এখন অনেকেই ইঞ্জিনিয়ার,শিক্ষক,ডাক্তার,শুধুমাএ আওয়ামীলীগ কে ভালোবেসে যিনি কোন চাকরী বা ব্যাবসায় মনোনিবেশ করতে পারেন নি। শুধু মাএ রাজনীতি নিয়ে যার জীবন অতিক্রম হচ্ছে।

এই সাদা সিদে জীবনের নেতা চাইলে অনেক কিছুই হতে পারতেন, কিন্তু তার নির্মোহ রাজনৈতিক জীবন এক দৃষ্টান্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে অনেক সুযোগ ছিলো তার এই রাজনৈতিক জীবনে। হতে পারতেন প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যবসায়ী কিংবা থাকতে পারতেন আরো বড় কিছুর নেতৃত্বে। কিন্তু প্রভাব-প্রতিপত্তি তাকে ছুঁতে পারেনি। রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছাড়া আর কিছুই বুঝতে চান না। অবশ্য রাজনীতিকে কেন্দ্র করেই সবরকম প্রভাব-প্রতিপত্তি গড়ে ওঠে। এটাই আজকের দিনের স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এই ব্যক্তির বেলায় চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। ব্যক্তিগত জীবনের দৈন্যদশা চুকিয়ে ফেলার সুযোগ এসেছিলো অনেকবার। কিন্তু তিনি সেসব প্রস্তাব লুফে নেননি একমাত্র রাজনীতিকে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলেন বলে।

এক নজরে সৈয়দ জয়নাল হোসেন:এর রাজনৈতিক জীবনি : ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক(১৯৯১-১৯৯৩)ঘোড়াশাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি(১৯৯৩-১৯৯৯) ঘোড়াশাল পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি (১৯৯৯--২০০৬)ঘোড়াশাল পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি(২০০৬-২০২০) ঘোড়াশাল পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহব্বায়ক(২০২০ চলমান) জয়নাল হোসেন এর পিতা-মরহুম সুলতান আহমেদ যিনি ছিলেন,দীর্ঘ ২৮ বছর ঘোড়াশাল ইউনিয়ন পরে ঘোড়াশাল পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি-এবং প্রয়াত জননেতা-হাসানুল হক হাসান সাহেবের ঘনিষ্ঠ সহচর।

ছোট ভাই,শহীদ ছাএলীগ নেতা-আনোয়ার হোসেন আনু ২০১৩ সালে বিএনপি-জামাতের ক্যাডারদের হাতে নির্মম ভাবে হত্যা হয়। ঘোড়াশাল-পলাশের রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করে যার কৈশর-যৌবন জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন। বিএনপির ক্যাডারদের হাতে জয়নাল নির্যাতিত হয়েছেন বহুবার। হয়েছেন-বিএনপি র আমলে ডজন খানেক মামলার আসামি। আওয়ামীলীগ আজ দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতায়-চারদিকে হাইব্রিটের জয়ধ্বনি। কুল কিনারাহীন,অসচ্ছোল ব্যাক্তিরা আওয়ামী লীগ সরকারের কল্যানে লাক্ষ এবং কোটিপতি কেউবা হয়েছেন আবার বিশাল ধনকুপের মালিক। এর বিপরিতে  হাজার হাজার জয়নাল'রা হাড়িয়েছে- জীবনের সোনালী সময়,অর্থ বিত্ত,পরিবার সন্তান।

আওয়ামীলীগ থেকে কি পেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নাল হোসেন বলেন-দল থেকে কিছু পাইনি তাতে কি"দেশের মানুষ তো ভালো আছে। জননেএী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বিএনপি-জামাতের অত্যাচার থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। গরীব দূঃখি মানুষগুলি দু-বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পাচ্ছে-সেটাই"বা কম কি-?আমরা তো এটাই চেয়েছিলাম।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password