ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে দিন কাটছে উপকূল এবং বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষদের

ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে দিন কাটছে উপকূল এবং বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষদের
MostPlay

দেশের সকল সমুদ্র বন্দরকে দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপ। যা উত্তর ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনিভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়েছে। যার ফলে চরফ্যাশন উপজেলা নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে সোমবার সকাল থেকে সারাদিন বাতাস ও মুসলধারে বৃষ্টি হয়েছে। আর এ ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র সম্ভাব্য আঘাতের খবরে উপকূল ও চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ রয়েছে অজানা আতঙ্কে। যার ফলে সিডর,আইলা,ফনি,বুলবুল ও আম্ফান ইয়াসের ভয়াবহ দাপটের কথা ভেবে এ উপজেলার উপকূলীয় এলাকার কৃষক শ্রমীক ও জেলে মাঝিমাল্লাসহ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের সাধারন মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আসলেই উপজেলার সাইক্লোন শেল্টারগুলোকে প্রস্তুত করা হয়। এর আগে তেমন খবর নেয়া হয়না বলে জানান স্থানিয়রা।

উপজেলায় ১৫৮টি শেল্টার থাকলেও শেল্টারগুলোর সোলার প্যানেলগুলোর নেই কার্যকারিতা। বিভিন্ন সাইক্লোন সেল্টারের একাধীক সোলার দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকলেও তা ঠিক করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উপজেলা মৎস্য অফিস থেকেও এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা বিষয়ক কোনো প্রচারণার খবর পাননি বলে জানান স্থানীয় জেলেরা। কৃষিকর্মকর্তা মো.ওমর ফারুক বলেন, আমরা মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যেসকল মাঠের ধান,বাদাম ও শেষ পর্যায়ের মুগ ডাল পেকেছে সেই সকল মাঠের ফসল যেন কৃষকরা কর্তন করে ফেলে। উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, উপজেলায় ১৫৮টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। অনেক শেল্টারেই সোলার প্যানেল বা সৌর বিদ্যুৎ নেই। তবে আমাদের এখানে ঘূর্ণিঝড় না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দিন বলেন, জেলে নৌকা ও নৌ-যানের জন্য ২নাম্বার দূরবর্তী হুশিয়ারী সংকেত চলমান রয়েছে। উপজেলায় ৩৩শ ভলান্টিয়ার ও স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। ভলান্টিয়ার ও বিচ্ছিন্ন ইউনিয়নগুলোর চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ধারাবাহিক সতর্ক বার্তা এবং আগাম প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা চলছে।

৪ নম্বর সংকেত পেলেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে অতি ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাধের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলা-২। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, এই মূহুর্তে অতি ঝুকিপুর্ন কোনো বেড়িবাধ নেই। বন্যাকালীন সময়ে যদি কোথাও কোনো বেড়িবাধ ক্ষতিগ্রস্ত বা ভাঙণের আশঙ্কা দেখা দেয় তাৎক্ষকি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক জিও ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি মজুদ রয়েছে। যথাসময়ে আলোচনা-সভা ও মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হবে এবং ঝূঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান রাহুল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password