ঘুড়ে আসুন রুপের রানী সাজেক ভ্যালি

ঘুড়ে আসুন রুপের রানী  সাজেক ভ্যালি

রুপের রানী রাঙ্গামাটির প্রতিটা প্রচ্ছদেই ছড়িয়ে আছে অনাবিল সৌন্দর্যময় রুপের আভা।পাহাড়, ঝরণা ও সহস্র বন্য প্রানীর সমাহারে সজ্জিত প্রকৃতির কন্যা রাঙ্গামাটি। রূপময়ী বাংলা যেন রূপের রাণী হয়েছে রাঙ্গামাটির অপরূপ সৌন্দর্যের রাজমুকুটটি ধারন করেই। চারপাশে উঁচু উঁচু পাহাড়ের দৃঢ়তার সাথে লেকের জলের বহমান স্নিগ্ধতা যেন স্রষ্টার সৃষ্টির অপরূপ ঐকতান।

বিরাজিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ১১ টি ভিন্ন সম্প্রদায়ের সম্প্রীতিপূর্ণ ১ সহাবস্থান বিশেষ মনোযোগের দাবীদার। সম্প্রদায়গুলোর পৃথক পৃথক পোশাক, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা ও সংস্কৃতি দ্বারা এ জেলাটি বিশেষায়িত । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জাতিগত বৈচিত্র্যের কারণে দেশে বিদেশে রাঙ্গামাটির সুখ্যাতি রয়েছে। কাপ্তাই লেককে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প সম্ভাবনাময়। এ শহরটি আশানুরূপভাবে পর্যটক  আকর্ষণ কেন্দ্রে পরিণত করতে শুধুমাত্র  যথাযথ পরিচর্যা ও পরিকল্পনার প্রয়োজন।

বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি। বর্তমানে বেশিরভাগ পর্যটকরা খাগড়াছড়ি রুট হয়েই ঘুড়তে যান সাজেকে। কিন্তু রাঙামাটির কাপ্তাই  লেক হয়ে সুভলং ঝর্না ও কাট্টলি বিলের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে লংগদু উপজেলা দিয়েও পাড়ি জমানো যায় এই নৈস্বর্গের অপার রুপের রাজ্যে।

কাট্টলি বিল যেতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে রাঙামাটিতে।

 রাঙামাটি থেকে সকালে মারিশ্যা এবং লংগদুর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ,স্পিড বোট বা টুরিস্ট বোট গুলোতে করে কাট্টলি বিল যাওয়া যায়।নিঃশব্দের জলাভূমি আর নীল আকাশের নিচে জেগে আছে কাট্টলি বিলের অনেকগুলো দ্বীপ। কাপ্তাই লেকের বিস্তৃত জলরাশির ঠিক মধ্যখানে এই দ্বীপগুলোতে গড়ে উঠেছে মানুষের বসতি।লংগদু পৌছে চাদের গাড়ি কিংবা মোটর বাইকে করে রওনা দিতে হবে সাজেকের উদ্দেশ্যে।গাড়ি ভাড়া অনেকটা খাগড়াছড়ি টু সাজেক রুটের সমমান।যারা একটু এডভ্যান্চার প্রিয় তাদের জন্য এই রুটটিতে একটু স্পেশাল অনুভুতি কাজ করবে। 

মৎস্য শিকার কেন্দ্র করে দ্বীপের বুকেই গড়ে উঠেছে কাট্টলি বাজার। গড়ে উঠেছে শুঁটকি পল্লী।

যা দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে এখানকার নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।

কাট্টলি বিলের দূরত্ব রাঙামাটি সদর থেকে জলপথে প্রায় ৪ ঘণ্টার।স্পিড বোটে ৪০ মিনিটের মত

রাঙামাটির পুরানো বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম লংগদু বাজার। পাশেই মাইনী মুখ যেখানে কর্ণফুলীর উপনদী কাছালং মিশেছে।

স্থানীয়দের মতে, মায়ানী নদীর মুখে গড়ে উঠা মাইনী বাজার এ অঞ্চলের পুরাতন এবং প্রধান বাজার। বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই স্থানীয় অধিবাসী।

লংগদু হয়ে সাজেক যাবার পথে বাঘাইছড়ি ও মাটিরাঙা উপজেলার দুটির অনেকটা  অংশ দেখার সুযোগ মেলে।

সাজেক উপত্যকা বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থল হিসেবেই পরিচিত।রাঙামাটির একেবারে উত্তরে অবস্থিত এই সাজেক ভ্যালিতে রয়েছে দুটি পাড়া- রুইলুই এবং কংলাক। ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুই পাড়া ১,৭২০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। আর কংলাক পাড়া ১,৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সাজেক ভ্যালি "রাঙামাটির ছাদ" নামেও পরিচিত।

সাজেক রুইলুইপাড়া, হামারিপাড়া এবং কংলাক পাড়া, এই তিনটি পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুই পাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৭২০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত আর কংলাক পাড়া ১,৮০০ ফুট উচ্চতায় কংলাক পাহাড়-এ অবস্থিত।

 সাজেকে মূলত লুসাই, পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা উপজাতি বসবাস করে। রাঙামাটির অনেকটা অংশই দেখে যায় সাজেক ভ্যালি থেকে। এই জন্য সাজেক ভ্যালিকে রাঙামাটির ছাদ বলা হয়।

কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ভূত সাজেক নদী থেকে সাজেক ভ্যালির নাম এসেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password