ঘুমের মধ্যেই ঘনিয়ে এল মৃত্যু, ৫ বছরের শিশুকে সঙ্গে নিয়েই মৃত্যুর কোলে মা-বাবা, শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

ঘুমের মধ্যেই ঘনিয়ে এল মৃত্যু, ৫ বছরের শিশুকে সঙ্গে নিয়েই মৃত্যুর কোলে মা-বাবা, শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
MostPlay

প্রায় ২০-২৫ ফুট নীচে ধ্বসে পড়ে বাড়ি। ঘুমের মধ্যেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তিন জনের।

বাড়ি ধ্বসে চাপে পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন জনের। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দার্জিলিংয়ের লোধামা রিমবিকে। মৃত্যু হয়েছে বাবা, মা ও তাঁদের পাঁচ বছরের শিশু পুত্রের। মৃতদের নাম নিমা তামাং (৩৪), চন্দ্রা তামাং (২৯) এবং নেহাল তামাং (৫)। মামার বাড়িতে থাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি তামাং দম্পতির শিশু কন্যা সন্ধ্যা।

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোধামা গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন নিমা তামাং। গতকাল রাতে তাঁদের বাড়ির জলের পাইপ লাইন ফেটে যায়। রাতভর জল পড়ে তামাং পরিবারের কাঁচা ঘরে। পাঁচ বছরের শিশু পুত্রকে নিয়ে তখন ঘুমোচ্ছিলেন তামাং দম্পতি। শনিবাপ ভোরে জলের তোড়ে ধ্বসে পড়ে নিমা তামাংয়ের বাড়ি। গভীর নিদ্রায় ছিলেন তাঁরা। প্রায় ২০-২৫ ফুট নীচে ধ্বসে পড়ে বাড়ি। ঘুমের মধ্যেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। সকালে ঘুম ভাঙতেই স্থানীয়রা ছুটে আসে। তারাই উদ্ধার কাজ চালায়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি কাউকেই।

খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছেন না পড়শীরা কেউই। মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দার্জিলিং সদর হাসপাতালে। তবে তামাং দম্পতির শিশু কন্যা সন্ধ্যা মামার বাড়িতে ছিল। খবর পেয়ে ছুটে আসে চন্দ্রাদেবীর পরিবারের লোকেরাও। বাকরুদ্ধ তামাং পরিবারের আত্মীয়স্বজনেরাও। ঘটনায় শোক জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। মৃত পরিবারকে রাজ্য সরকার দুই লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

লোধামা রিমবিকে ছুটে যান গোর্খাল্যাণ্ড টেরিটোরিয়াল এডমিনিস্ট্রেশনের চেয়ারম্যান অনীত থাপা। তিনিও শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষাই খুঁজে পাচ্ছেন না। জিটিএ মৃতদের মাথা পিছু এক লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন অনীত থাপা। শোকে কাতর এলাকার বাসিন্দা থেকে আত্মীয়রা চেয়ে আছে ছোটো শিশু কন্যা সন্ধ্যার মুখের দিকে। আর কাকে সন্ধ্যা মা, বাবা বলে ডাকবে! ও যে খুঁজেই চলেছে বাবা, মা, ভাইকে!

 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password