বাংলাদেশই নিরাপদ এবং কক্সবাজারে দ্বিতীয় ভাসানচর করতে হবে : জাতিসংঘ ও UNHCR

বাংলাদেশই নিরাপদ এবং কক্সবাজারে দ্বিতীয় ভাসানচর করতে হবে : জাতিসংঘ ও UNHCR

ভাসানচরের মডেলকে কক্সবাজারে দেখতে চায় জাতিসংঘ। জাতিসংঘ এবং UNHCR এর ভাষায়,ভাসানচরের ফ্যাসিলিটির আদলে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলো গড়ে তোলা এবং একই সাথে রোহিংগাদের চলাফেলায় স্বাধীনতা দিতে হবে। কিন্তু মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে বাধ্য করা কিংবা মিয়ানমারে আটকে থাকা ৫ লক্ষাধিক রোহিংগাদের প্রতি মানবেতর সাহায্যের ব্যপারে জাতিসংঘের তেমন কোন আগ্রহ নেই। অর্থাৎ ৫ লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে যে করেই হউক বাংলাদেশে আনতে আগ্রহী UNHCR.

শুধু আনা নয় তাদের নাগরিকত্ব,বসত-বাড়ি সব কিছুই দেখভাল যাতে বাংলাদেশকে করতে হয় তার ব্যপারেও অগ্রগতি দেখতে চায় তারা। এইদিকে আফগান শরনার্থীদের বেলায় UNHCR পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে বললেও কোন দেশেরই নাম নেয়নি। কিন্ত রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে দেয়া প্রতিটি বিবৃতিতেই তারা বাংলাদেশের জন্য পরামর্শ এবং কিছু ক্ষেত্রে আবদার ও জানিয়েছে। এমনকি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও শরনার্থী বিষয়ে এত আবদারের সাহস পায়না তারা। বিশ্বের অন্যান্য দেশে রোহিঙ্গাদের স্থান দেয়ার ব্যপারে যেমন UNHCR এর আগ্রহ নেই তেমনি জার্মানী ও ফ্রান্সে শরনার্থীদের মানবাধিকার লংঘন,ফ্রান্সে হিজাব পড়তে বাধা দেয়া নিয়েও জাতিসংঘের বিবৃতি নেই। যার অর্থ জাতিসংঘ এবং UNHCR বাংলাদেশে মুলত মিয়ানমারের এজেন্ডা বাস্তবায়নেই কাজ করছে।

তবে বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারে ভাসানচরের মত করে স্থাপনা বানাবার জাতিসংঘের আবদার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কক্সবাজারে ভাসানচর মডেল ফলো করার অর্থ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাকাপোক্ত করবার আরো একটি ব্যবস্থা করা। আর জাতিসংঘ জেনে বুঝেই বারবার এমন দাবী নিয়ে আসছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password