টি-টুয়েন্টি সিরিজও জিতে নিল বাংলাদেশ

টি-টুয়েন্টি সিরিজও জিতে নিল বাংলাদেশ

হারারেতে তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টুয়েন্টি সিরিজের অঘোষিত ফাইনালে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি-টুয়েন্টিও সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। সৌম্যর ফিফটি (৬৮), মাহমুদউল্লাহর (৩৪)অধিনায়কোচিত ইনিংস এবং শামীম হোসেন পাটুয়ারীর ১৫ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যাবধানে সিরিজ জিতে নিল টাইগাররা। এর মাধ্যমে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

১৯৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ২০ রানেই ফেরেন ওপেনার নাঈম শেখ। তিনে এসে আশা জাগান সাকিব আল হাসান। ওপেনার সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি। অষ্টম ওভারে জঙউইকে পরপর দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ওই ওভারের চতুর্থ বলেই ১৩ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন সাকিব। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন সৌম্য। তবে দীর্ঘসময় অনেক ধীরে খেলেন তিনি। একসময় এ ওপেনারের নামের পাশে ছিল ৩৬ বলে ৩৭ রান। তবে এরপরই বেরিয়ে আসেন খোলস থেকে। ৪০ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতকের মাইলফলক স্পর্শ করেন সৌম্য। কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট হন তিনি। জঙ্গওয়ের বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৯ বলে ৬৮ রান করেন এই ওপেনার। ছোট্ট ক্যামিও ইনিংস খেলে আফিফ ফেরেন ১৪ রানে।

পঞ্চম উইকেটের জুটিতে মাঠে আসেন শামীম পাটোয়ারি। চলতি সিরিজে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে রানের চাকা দ্রুত এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ। ১৮তম ওভারে শেষ তিন বলে তিন বাউন্ডারিতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন শামীম। তার ১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ৫ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

এর আগে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। মাত্র ২৬ বলেই দলীয় অর্ধশতক তুলে নেন দুই ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও ওয়েসলি মাধেভেরে। খানিক পরই ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে বিধ্বংসী মারুমানিকে (২৭) বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। তাতেও থামেনি জিম্বাবুয়ের রানের গতি। তিনে আসা রেগিস চাকাবা সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা এগিয়ে নেন মাধেভেরে। মাত্র ৯ ওভার ৩ বলেই দলীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তারা। ১২তম ওভারের প্রথম বলে ডিপ মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন শামিম হোসেন পাটোয়ারী। বল বাউন্ডারির লাইনের উপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই শূন্যে লাফিয়ে বল ভেতরে ঠেলে দেন নাঈম। এরপর শূন্যে ভেসে থাকা বল কিছুটা দৌড়ে গিয়ে তালুবন্দি করেন শামিম। এভাবেই শেষ হয় ২২ বলে ৬ ছক্কায় চাকাভার ৪৮ রানের ইনিংস।

চাকাভা ব্যর্থ হলেও ওপেনিংয়ে নামা মাধেভেরে তুলে নেন চলতি সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। সাকিবের বলে শরিফুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে তিনি খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। এরপর নামা ডিওন মেয়ার্স ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষের দিকে ডিয়ন মায়ার্স ও রায়ান বার্ল মিলে আবারও রানের চাকা দ্রুত এগিয়ে নেন। তাদের ব্যাটেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান তোলে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের হয়ে সৌম্য সরকার একাই নেন ২ উইকেট। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সৌম্য সরকার।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password