জীবনের তাগিদেই জীবনের ঝুঁকি

জীবনের তাগিদেই জীবনের ঝুঁকি

সারাবিশ্ব তথা সারাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ও মৃত্যু ঊধ্বমুখী হওয়ায় সাভারসহ সারা দেশে চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। পাশের দেশ ভারতে প্রাণঘাতি করোনা তান্ডব চালাচ্ছে। এসবই জানেন আসলাম শেখ  (৫০)। কিন্তু নির্মম এক চক্রে ফেঁসে গেছেন তিনি। বাইরে বের না হলে না খেয়ে মরবেন আর বাইরে বের হলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আতঙ্ক। কিন্তু ক্ষুধার যন্ত্রণায় করোনার ভয় হারিয়ে ফেলেছেন। তাই না খেয়ে না মরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্বিতীয় পথটিই তিনি বেছে নিয়েছেন।

আজ  সকালে  সাভার সরকারি হাসপাতালের গেইটের সামনে কথা হয় রাজু মিয়া   সঙ্গে। পেশায় তিনি একজন রিকশা চালক। করোনার ভয় থাকলেও ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে ভাড়া নিয়ে করোনা হাসপাতালে এসেছেন। না খেরে মরার হাত থেকে বাঁচার জন্য জীবন বাজি ধরে করোনা হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করছেন। ভ্যাকসিন দিয়ে কিংবা করোনা টেস্ট করিয়ে কেউ বাড়ি ফেরার জন্য তাঁকে ডাক দেয় কি না। যদি ডাকে তবেই পেটে ভাত জুটবে। নয়তো না খেয়েই থাকতে হবে।

রিয়াজুল ইসলাম   বলেন, ‘করোনার ভয় তো করে বাবা। কিন্তু পেট তো মানে না। পেট আছে, ক্ষুধা আছে এইটারে তো করোনার ভয় দেখায়া রাখতে পারি না। লকডাউন দিয়াও তো ক্ষুধা আটকাইতে পারে না। যদি ক্ষুধা আটকায়া রাখতে পারতো। তাইলে আমরাও ঘরেই থাকতাম। বাইরে আইতাম না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password