মোদির আগমন ঠেকাতে গণমিছিলের ঘোষণা, দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

মোদির আগমন ঠেকাতে গণমিছিলের ঘোষণা, দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমন প্রতিহত করতে ৬ মার্চ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটি। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন জেলার মসজিদে মসজিদে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

মোদির আগমন ঠেকাতে প্রয়োজনে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ইসলামী সমমনা ৪৬ দলের নেতারা।

 

বুধবার (৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া কমিটির পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবিও উপস্থাপন করা হয়।

সেখানে বলা হয়, ‘ভারতে মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইন পাস, মসজিদে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে ও নরেন্দ্র মোদির আগমন প্রতিহত করার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে উত্থাপিত দাবিসমূহ হলো-

>> দিল্লিতে মুসলিমদের চোখে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে, অন্ধ অনেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।

>> দিল্লির সহিংসতায় মৃত ৩৪ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

>> দিল্লির সহিংসতায় অমিত শাহ’র ব্যর্থতা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে।

>> ভারতের ২০ কোটি মুসলিমকে টার্গেট করা হয়েছে, এটা বন্ধ করতে হবে।

>> দিল্লির মসজিদে আগুন, মিনারে হনুমানের পতাকা উত্তোলনের বিচার করতে হবে।

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঘোষিত কর্মসূচি হলো-

>> ৬ মার্চ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে এবং সারাদেশের বিভিন্ন জেলার মসজিদে মসজিদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

>> প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা।

>> মোদির বাংলাদেশে আগমন ঠেকাতে সমমনা ইসলামী দলগুলো প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করবে।

ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবু তাহের জিহাদীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে ৪৬টি ইসলামী দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সমন্বয়ক ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশরাফী, বেফাকের কেন্দ্রীয় ওস্তাদ মুফতি বাহউদ্দীন, মুসলিম অক্ষ পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়েখ মাওলানা আজিজুর, খতিব পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সালেহ সিদ্দিকীসহ প্রমুখ।

ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মাওলানা আবু তাহের জিহাদী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ‘ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভে হামলার প্রেক্ষাপটে দুটি মসজিদে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা কুরআনের বিভিন্ন পাতা মাটিতে পুঁতে রাখতে দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে ৫০০ জনের মতো একদল হিন্দু আশকনগর এলাকায় একটি মসজিদের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এরপর সেটির মিনারে উঠে হিন্দুত্ববাদী পতাকা টানিয়ে দেয়। তারা মসজিদটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সন্ধ্যায় আরেকটি ছোট মসজিদ ও মুসলমানদের দোকানে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করে দেয়া হয়েছে।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password