বাড়ির আঙিনায় শক্তিবলে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

বাড়ির আঙিনায় শক্তিবলে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ
MostPlay

সরকারি কাজের অর্থে বাড়ির আঙিনায় শক্তিবলে ইট বিছিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ইউনিয়নের সচিব নিজ বাড়িতে যাতায়েতের সহজ এবং সুবিধার জন্য ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছেন । এই ঘটনাটি ঝিনাইদহের সদর উপজেলার ফুরসন্ধী ইউনিয়নের ঝিঁথড় গ্রামের ।

রাস্তাটি ঝিনাইদহ শহর থেকে নারিকেলবাড়িয়া হয়ে টিকারী বাজারে যোগ হয়েছে, যার উত্তরে ঝিঁথড় গ্রামের অবস্থান । গ্রামের রাসমন্দির গিছে ছোট্ট বাজার গড়ে উঠেছে । এই মন্দির পর্যন্ত পাকা রাস্তার কাজ হয়েছে । মন্দিরের পাশে বেশ কিছু পরিবার বসবাস করে । এসব পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন রাজকুমান মন্ডল ও মনোতোষ মন্ডলের বাড়ির উঠান দিয়ে চলাচল করেন । সেখানে সরকারি প্রকল্পে ইট বিছানো ও রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে ।

তাঁদের বাড়ির পেছন দিকে পাঁচটি পরিবার রয়েছে যার মধ্যে একটি ঘোরশাল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব প্রতাপ বিশ্বাসের । বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাস্তা নির্মানের কাজটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের অর্ন্তভুক্ত । ২০২০-২১ অর্থবছরে এই কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৯৫ টাকা। ফুরসন্ধী ইউপির সদস্য সুবর্ণা রানী এই কাজের প্রকল্প সভাপতি। কাজটি চলমান।

রাজকুমার মণ্ডল বলেন, তাঁদের বাড়ির পেছনে প্রতাপের বাড়ি। তিনি কিছু দিন আগে ইউনিয়নের সচিব হয়েছেন। তিনিই বাড়ির উঠান দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছেন। জমির এক পাশ দিয়ে রাস্তা করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি (প্রতাপ) জানিয়েছিলেন, রাস্তা সোজা পাস হয়ে গেছে, বাঁকা করা যাবে না।

রাজকুমারের ভাই রুমানাথ মণ্ডল বলেন, তিনি দুই ভাইয়ের বাড়ির পেছনে বসবাস করেন। তাঁর বাড়ির পাশে প্রতাপদের বাড়ি। প্রায় দুই মাস আগে হঠাৎ একদিন তাঁদের বাড়ির ভেতর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য মাপজোখ শুরু হয়। তাঁরা বাধা দেন এবং জমির এক পাশ দিয়ে রাস্তা করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাঁদের কথা শোনা হয়নি। বরং আপত্তি দেওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়। এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রতাপ বিশ্বাস ।

তিনি আরও বলেন, এই রাস্তা দিয়ে অর্ধশত বছর চলাচল করা হয়। আমরা সবার সাথে আলোচনা করে এটা করেছি । জোর করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। যাঁরা একসময় ভালো মনে রাস্তা দিয়েছেন, তাঁরাই এখন একটি মহলের ষড়যন্ত্রে নানা অভিযোগ তুলছেন। তিনি গ্রামে থাকেন না। মাঝেমধ্যে বাড়িতে যান।

যাঁরা সেখানে থাকেন, তাঁদের জন্যই রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে রাস্তা করার অনুমতি দিয়েছেন। সদর উপজেলার পিআইও নিউটন বাইন বলেন, যাঁদের বাড়ির ওপর দিয়ে রাস্তা গেছে, তাঁরা প্রথমে আপত্তি করেছিলেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদ পক্ষ থেকে কথা বলার পর তাঁরা রাস্তাটি করেছন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password