মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ; স্বপ্নে বুক বাধছে কৃষকেরা

মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ; স্বপ্নে বুক বাধছে কৃষকেরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক সফল কৃষকের চিন্তাধারা সমাজের বেকারত্ব যুবসমাজকে কৃষির আওতায় অর্ন্তভূুক্ত করা। এমন কৃষকের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের  সবজি খ্যাত কুমিরমারা গ্রামে।

লুঙ্গী জাকির নামে এলাকায় পরিচিতি থাকলেও তার রয়েছে সবজির উপরের নানাবীধ স্বপ্ন।  গ্রীন হাউস ও মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখতে বসেছে কৃষকরা। দেশ বিদেশী বিভিন্ন উন্নতশীল বীজ সংগ্রহ করে এলাকায় মালচিং পদ্ধতিতে রোপন করে সফলতার ছোয়া পেয়েছেন তিনি। তার সফলতা দেখে কুমিরমারা গ্রামের বেশ কিছু কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করেন। চলতি মৌসুমে সবজি ক্ষেতে মালচিং পদ্ধতিতে লাউ,শসা,করোলা,বোম্বে মরিচ,পেপে, কাঁচা মরিচ,লাফা, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, টমেটো সহ নানা প্রজাতীর সবজি চাষ করেছেন জাকির হোসেন।  এবং বর্ষা মৌসুমে বাহারি রঙের তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। স্থানীয় কৃষকরা এই বর্ষা মৌসুমে বাহারি রঙের তরমুজ মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সবজি চাষী জাকির জানান, আমি এক সময় রাজমিস্ত্রী ছিলাম সেখান থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কৃষি কাজ করি।  এবছর আমি ৬ বিঘা জমিতে  বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষে পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করি। এই এলাকায় আধুনিক কৃষি আমি সৃষ্টি করি এবং স্থানীয় কৃষকদের আধুনিক ভাবে কৃষিকাজ করার জন্য উৎসাহ দেই। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে অনেক ভাল ফসলের আশা করি।

স্থানীয় সবজি চাষি মোঃ ওমর ফারুক জানান, আমাদের কৃষি পন্য কলাপাড়া উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয় তাই বাজার জাত করার জন্য যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকার কারনে সবজির ন্যায্যো মূল্য পাইনা, সরকারি ভাবে আমরা আর্থীক সহযোগীতা পেলে আর ও ব্যাপক আকারে সবজি চাষ করতে পারবো বলে আশাকরি  

এব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ জানান, শুধু কুমিরমারা নয় কলাপাড়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে আমরা কৃকদের আধুনিক ট্রেনিং দিয়ে সবজি চাষে উদ্ভুদ্ধ করবো।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password