হিরো আলমের ওপর হামলা নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

হিরো আলমের ওপর হামলা নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
MostPlay

গতকাল সোমবার ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। তার ওপর হামলা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়।

সোমবার (১৭ জুলাই) ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমি বলবো যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত এবং সহিংসতার জন্য অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি।

আমরা আশা করবো, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে এবং আমরা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবো।’ শামীম ওসমান এমপি ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে- গণতন্ত্রে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।

ব্রিফিংয়ে উঠে আসে বুধবার নিউ ইয়র্কে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে কিছু বিক্ষোভকারীর বচসার কথা। এর পর তাদের একজনের বাড়িতে হামলা হয়। এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর শেষে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি।

এরই মধ্যে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে শাসকগোষ্ঠীর হামলা ফিরে এসেছে। সবেমাত্র সোমবার একটি উপনির্বাচন হয়েছে। তা বর্জন করেছে প্রধান বিরোধী দল। এমনকি সেখানে স্বতন্ত্র একজন প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে শতকরা ১০ ভাগেরও কম ভোট পড়েছে।

সুতরাং কিভাবে আপনি বিশ্বাস করবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, যেহেতু ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। আর এখন উপনির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। প্রার্থী তো হামলার শিকার হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আপনাদের অবস্থান কী? আপনারা কি এ বিষয়টি ফলো করছেন? এ প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত মন্তব্য করেন ম্যাথিউ মিলার।

তার কাছে আবার প্রশ্ন করা হয়, বুধবার রাতে নিউ ইয়র্কে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় একজন এমপির সামনে বিক্ষোভ করেছেন বিরোধীদলীয় কিছু কর্মী। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে তাদের একজনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল ওই হামলা ফেসবুকে লাইভ দিয়েছে।

তাতে তারা দেখিয়েছে, দেশের বাইরে থেকে যারা কথা বলছে, তাদের ওপর তারা হামলা চালাচ্ছে। এটা লাইভ দেখানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেউ যদি কথা বলেন অথবা প্রতিবাদ করেন অথবা সরকারি দলের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক দেখান- তাহলে দেশে তাদের বাড়ি নিরাপদ নয়।

এর প্রেক্ষিতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী? সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার একটিই বাক্য ব্যবহার করেন। বলেন, আবারও আমি শুধু বলব, আপনি যে ধরনের সহিংসতার কথা উল্লেখ করেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে তার কোনো স্থান নেই।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password