তজুমদ্দিনে সমুদ্রগামী জেলেদের ফেরার অপেক্ষায় নদীর তীরে স্বজনদের অপেক্ষা

তজুমদ্দিনে সমুদ্রগামী জেলেদের ফেরার অপেক্ষায় নদীর তীরে স্বজনদের অপেক্ষা
MostPlay

সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় ‘আশনি’ সৃষ্টির খবরে তজুমদ্দিনে সমুদ্রগামী জেলেদের ফেরার অপেক্ষায় নদীর তীরে স্বজনদের অপেক্ষা। উপকুলীয় উপজেলার জেলে পাড়ায় এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্রে জাল না ফেলেই ফিরে আসছে অনেক জেলে। আবার অনেক জেলের স্বজনরা শশীগঞ্জ মাছ ঘাট সংলগ্ন মেঘনার তীরে দাঁড়িয়ে আছে স্বজনের ফিরে আসার অপেক্ষায়। উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য উপজেলা মৎস্য দপ্তরে নিবন্ধিত রয়েছে ৪ হাজার ৫০৬ জন জেলে।

এদের অনেকেই এখন সমুদ্রের মাছ ধরতে গেছে। আগামী ২০ মে থেকে সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এ-ই বিধি নিষেধ পরবর্তী ৬৫ দিনের জন্য বহাল থাকবে। এসময় জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকারে যেতে পারবেনা। এসময় নদীতে মাছ না থাকায় সমুদ্রগামী অধিকাংশ জেলেরা তাই ঘরে বসে নেই। তারা এখন ব্যস্ত সাগরে মাছ শিকারে। সমুদ্রের ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার আগেই জীবিকার টানে তারা ছুটে গেছে মাছ ধরতে।

সমুদ্রের এরকম উত্তাল পরিবেশের মধ্যেও এসব জেলেরা বাড়ি ফিরে না আসায় খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছে তাদের স্বজনরা। মঙ্গলবার বিকেলের শশীগঞ্জ স্লুইজঘাট ধরে সারি সারি ট্রলারের আগমন ঘটছে সমুদ্রের দিক থেকে। জেলেরা জানিয়েছে, সমুদ্রের উত্তাল পরিবেশ দেখেই তারা মাছ ধরার রেখে বাড়ি ফিরে আসছে।

শশীগঞ্জ মাছ ঘাট এলাকা জেলে শাহাবুদ্দিন মাঝি জানান, দুইদিন আগে মাছ ধরতে সমুদ্রে যাই। মোবাইলে ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টির খবর জেনে জাল ফেলার আগেই আমরা চলে আসি। আব্দুল ওহাব নামের এক স্বজন জানান, আমার ছেলে ও অন্য আত্মীয়ারা সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছে। কিন্তু তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় খোজ নিতে পারছি না।

সেজন্য নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি তাদের জন্য। উপজেলা মৎস্য অফিসার আমির হোসেন জানান, আমরা ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টির কারনে নদীতে মাইকিং করে জেলেদের সমুদ্রে না যাওয়ার আহবান জানিয়েছি। এই উপজেলায় সমুদ্রগামী জেলের সংখ্যা অনেক। অনেকে এই সময়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে আছে। নদীতে ইলিশের দেখা না পাওয়ায় অনেকে এখন সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছে। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password