জাতীয় নির্বাচন: যশোর-১ শার্শা আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আবুল হাসান জহির

জাতীয় নির্বাচন: যশোর-১ শার্শা আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আবুল হাসান জহির
দুয়ারে কড়া নাড়ছে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে যশোর-১ শার্শা আসনের নির্বাচনী এলাকা।

রাজনৈতিক উত্তাপ শুরু হয়েছে উপজেলার প্রতিটি অলিতে-গলিতে। তবে দীর্ঘদিন পরে ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় আনন্দ বিরাজ করছে তরুণ যুবক সহ সব বয়সী মানুষের মাঝে। এবারের নির্বাচন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করছেন নতুন পুরাতন ভোটাররা।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপি থেকে চারজন এবং জামায়াতে ইসলামীর একজন প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সমাবেশ মিছিল মিটিংসহ বিভিন্ন প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও নির্বাচনী ঝড় উঠেছে চায়ের কাপেও।

বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলের উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানের সভাপতি আবুল হাসান জহির,শার্শা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ খাইরুজ্জামান মধু,সাবেক কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি, এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন সহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা আজীজুর রহমান।

তবে নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন একাধীক হামলা মামলা ও জেল জরিমানার শিকার এবং রাজপথের সর্ব্বোচ্চ ত্যাগী নেতা শার্শা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানের সভাপতি আবুল হাসান জহির।

তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে দল যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই দলীয় ব্যানারে নির্বাচন করার টিকিট দিবেন। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, কোনো দলীয় কোন্দলও নেই। দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তার পক্ষে কাজ করে আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর দেশ উপহার দিতে চাই।

তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও নতুন পুরাতন ভোটাররা জানান, শার্শা আসনে আবুল হাসান জহির প্রচার প্রচারণা ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। আমরা মনে প্রাণে তাকেই সংসদ সদস্য হিসাবে দেখতে চাই। তবে আমরা দলের প্রতি আস্থা রেখে দলের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিবো।

যশোর-১ শার্শা আসনের ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটকেন্দ্র ১০২টি। মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৯৯ হাজার ২৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৪০ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৪৮ হাজার ৮৮৩ জন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password