বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্ত থেকে হাতিয়া পর্যন্ত ঢাকামুখী ১০ কিলোমিটার ও পশ্চিম প্রান্ত থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলমুখী ৪০ কিলোমিটার এলাকায় এ যানজট রয়েছে। জরাজীর্ণ নলকা সেতু ও এর দু‘পাশে সড়কের খানাখন্দ থাকায় এ যানজটের সূত্রপাত হয়। এদিকে সেতুর পশ্চিম পাড়ে যানবাহন আটকে থাকায় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে টোল আদায় বন্ধ রেখেছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে করে যানজট আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের ৩টি রুটে অন্তত ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
ভয়াবহ যানজটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এসব রুটে। বেশ কয়েকদিন ধরে মহাসড়কটিতে থেমে থেমে যানজট থাকলেও বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে তা তীব্র আকার ধারণ করে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের সয়দাবাদ থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে ভুঁইয়াগাঁতী পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে রাজশাহী রুটের নাঈমুড়ী বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় ঢাকার দিকে গাড়ির সারি ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ের সার্জেন্ট ফয়সাল আহমেদ বলেন, নলকা সেতুর কারণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। হাটিকুমরুল গোলচত্বর ছাড়িয়ে যানজট ভুঁইয়াগাঁতী বাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। অপরদিকে রাজশাহী রুটের গোঁজা ব্রিজ পার হয়েছে। আমরা যানজট নিরসনের চেষ্টা করছি। সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, মহাসড়কে খানাখন্দের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমে পাঁচলিয়া ও পূর্বদিকে ঝাঐল ওভারব্রিজ পর্যন্ত যানজট রয়েছে। রাস্তা খারাপের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে নলকা সেতুতে সংস্কার কাজ শুরু করেছে সড়ক বিভাগ। এ কারণেও যানজটের তীব্রতা বাড়ছে। তবে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন