লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর কাদিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজু বলেছিলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে যিনি নির্বাচিত হবেন তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব। তিনি কথা রেখেছেন, বিজয়ী চেয়ারম্যানকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন এ প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী ।
এ সময় একে অপরের মুখে মিষ্টি তুলে দেন। শনিবার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে ফল দিয়ে বরণ ও পরাজিত প্রার্থীকে মিষ্টি খাওয়ানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। শুক্রবার বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাড়িতে যান রাজু। আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজু চরকাদিরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ বর্তমান চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চরকাদিরা ইউনিয়ন থেকে ৭ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ওই ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল ইসলামের নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। সেখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জিতেছেন। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রাজু পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৭ ভোট।
নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম ১ হাজার ৫১৩ ভোট পেয়েছে তৃতীয় হয়েছেন। ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, পরাজিত প্রার্থী আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। বিজয়ী প্রার্থীকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেছেন। আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজু বলেন, ভোটগ্রহণ অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
জণগন যাকে নির্বাচিত করেছেন, আমি তাকেই ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, জনগণের ভোটে আমি চেয়ারম্যান হয়েছি। চরকাদিরার উন্নয়নে যারা আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আমি তাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন