নওগাঁর মান্দায় কশব ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকের রাস্তার বেহাল দশা

নওগাঁর মান্দায় কশব ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকের রাস্তার বেহাল দশা
MostPlay

নওগাঁর মান্দায় কশব মধ্যপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু অযত্নে ও সংস্কারের অভাবে ক্লিনিকটির কার্যক্রম নানা সমস্যায় জর্জরিত।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ক্লিনিকটি চারিদিকে বর্ষার পানি দিয়ে ঘেরা। এই ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা এবং কর্মীদের যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট না থাকায় ঠিকমত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। তাছাড়া নতুন ভবন হলেও বিদ্যুৎ, পানির সংকট ও ছাদ থেকে পানি চুঁয়ে পড়া ইত্যাদি ঝুঁকিতেই চলছে এই ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা। কশব মধ্যপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে নারী, শিশুসহ গড়ে প্রতিদিন ৭০-৮০ জন রোগী আসেন সেবা নিতে। কিন্তু রাস্তা না থাকার কারণে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সেবা নিতে আসা হালিমা আক্তার নামে এক রোগী বলেন, ‘ আমার বাড়ি থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনেক দূরে হওয়ায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে এখান থেকে সেবা নিতে বাধ্য হই। কিন্তু এই ক্লিনিকের রাস্তা না থাকায় কাদা ও হাঁটু পানিতে ভিজে আসতে হয়। তিনি আরো জানান, এখানে এসে মাঝে মাঝে আমার বাচ্চারা পানি খেতে চাইলে পাওয়া যায় না কারণ এখানে বিশুদ্ধ পানির সংকট এটা যদি আধুনিক করা হয় তাহলে আমাদের ভোগান্তির অবসান হবে।’

এ বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মোছাঃ রোকেয়া খাতুন বলেন, এই ক্লিনিকে ১০ বছর থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছি। দীর্ঘদিন ধরে ভবনের অবস্থা খুব খারাপ। সামান্য বৃষ্টিতে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। এর ফলে অনেক চিকিৎসা সামগ্রী ও ঔষধপত্রসহ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, ক্লিনিকটির সামনের জায়গাটি নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। ফলে এ ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হন। এলাকাবাসী মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, কশব মধ্যপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে দীর্ঘদিন ধরে নেই বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা , নেই নিরাপদ পানির ব্যবস্থা এবং রাস্তার যে বেহাল দশা তাতে করে সেবা গ্রহনকারীর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই যে, অনতিবিলম্বে সেবার মান যাতে উন্নত হয় সেই ব্যবস্থা নিবেন।

এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলার টিএসও বলেন এই ক্লিনিকের বিষয়টি আমি জানি। অতি দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password