রাসূল (সা.) কোন নামাজে কোন সুরা পড়তেন

রাসূল (সা.) কোন নামাজে কোন সুরা পড়তেন
MostPlay

নামাজে কোরআন তিলাওয়াত করা ফরজ, আর সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। এ ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের যেকোনো স্থান থেকে তিলাওয়াত করলে নামাজের ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে নবী কারিম (সা.) কিছু নামাজে কিছু সুরা বেশি পড়তেন।

ফকিহ আলেমরা কিরাতের ক্ষেত্রে নবীজি (সা.)-এর অনুসৃত নিয়ম অনুসরণকে সুন্নত বলেন। নবী কারিম (সা.) সাধারণত নামাজে কিভাবে এবং কোন কোন সুরা পড়তেন তা এখানে তুলে ধরা হলো— পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজের কিরাত : পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজে কোরআন তিলাওয়াতে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা সুন্নত।

১. সফর অবস্থায় সুরা ফাতিহার পর যেকোনো সুরা মিলিয়ে নিলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধ্যকতা নেই। ২. ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজুরাত থেকে সুরা বুরুজ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া। ৩. আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক থেকে সুরা বায়্যিনাহ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া।

৪. মাগরিবের নামাজে সুরা জিলজাল থেকে সুরা নাস পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া। সুন্নত ও অন্য নামাজের কিরাত : ফরজ নামাজ ছাড়া সুন্নতসহ অন্য নামাজে কোরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা সুন্নত : ৫. নবী কারিম (সা.) ফজরের সুন্নত নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।

৬. রাসুলুল্লাহ (সা.) বিতর নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন। ৭. নবী (সা.) জুমার দিন ফজরের নামাজে প্রায়ই সুরা আস-সাজদা ও সুরা দাহর পড়তেন। ৮. তিনি জুমার নামাজে প্রায়ই সুরা আ’লা ও সুরা গাশিয়াহ অথবা সুরা জুমআ ও সুরা মুনাফিকুন পড়তেন।

৯. রাসুলুল্লাহ (সা.) ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতে দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষা দীর্ঘ কিরাত পড়তেন। ১০. নবীজি (সা.) ফজর নামাজে অন্য নামাজের চেয়ে দীর্ঘ কিরাত পড়তেন। ফকিহ আলেমদের মতে, নিজের পক্ষ থেকে কোনো নামাজের জন্য কোনো সুরা নির্দিষ্ট করে নেওয়া শরিয়ত-পরিপন্থী। (দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, পৃষ্ঠা ২৪৮, মা-লা বুদ্দা মিনহু, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০)

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password