ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন তা সদম্ভে স্বীকারও করেছেন। ওই ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের দুলাল মিয়া বলেন, তাকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বেঁধে মারধর করেন চেয়ারম্যান। “আমার জমি থেকে মাটি নেওয়ার প্রতিবাদ করায় এই বয়সে চেয়ারম্যান আমাকে মারধর করলেন।” তার জমি থেকে মাটি নিয়ে রাস্তা সংস্কার করা হয় বলে চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “গ্রামের রাস্তায় কাজ করতে গেলে মাটি নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুলালের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুলাল সরকারি কাজে বাধা দেন। প্রতিবাদ করলে আমার গায়ে হাত তোলেন দুলাল। পরে গ্রাম পুলিশ তাকে ধরে আমার গাড়িতে তুলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসলে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলি। এরপর ভয় দেখানোর জন্য লাঠি দিয়ে কয়েকটা আঘাত করেছি।” এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হালুয়াঘাট থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, “দুলাল মিয়ার ফসলি জমি থেকে মাটি নিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার।
এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে দুলালকে নিজ গাড়িতে উঠিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান চেয়ারম্যান। গ্রাম পুলিশের সহায়তায় তাকে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন চেয়ারম্যান।” দুলালকে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হালুয়াঘাট থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান। তিনি বলেন, দুলাল মিয়াকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন