কিছু লোক মোটরসাইকেল বন্ধ করতে চায় কিন্তু এটা ঠিক নয়

কিছু লোক মোটরসাইকেল বন্ধ করতে চায় কিন্তু এটা ঠিক নয়

কিছু লোক মোটরসাইকেল বন্ধ করতে চায় কিন্তু এটা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল এখন ক্রমবর্ধমান খাত। জিডিপিতে বড় অবদান রাখে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মোটরসাইকেল বন্ধ নয়, বরং সচেতনতার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হবে।

রবিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জাতিসংঘ সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সচিব বলেন, প্রতিদিন সড়কে ৫ থেকে ১৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। দুর্ঘটনা কমাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় এটি নিশ্চিত করা গেছে যে, প্রায় প্রতিটি চালক হেলমেট ব্যবহার করছেন।

বিআরটিতে থেকে বলা হয়েছে লাইসেন্স না থাকলে মোটরসাইকেল কিনতে পারবে না। এখন বিএসটিআই হেলমেটের মান নির্ধারণে কাজ করছে। বিএসটিআই মহাপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার বলেন, বাজারে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০-৩৫ হাজার টাকার মধ্যে মানসম্মত হেলমেট পাওয়া যায়। যে যার পছন্দ অনুযায়ী ক্রয় করতে পারেন। তবে এসব হেলমেটেরও একটা লাইফ টাইম থাকা প্রয়োজন। কতদিন পর আর এ হেলমেট ব্যবহার করা যাবে না, তা নির্ধারণ করা দরকার।

বাজারে মানহীন বহু হেলমেট রয়েছে, সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। সভায় আলোচকরা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন ২ থেকে ৫ কোটি মানুষ। আহতদের অনেকে স্থায়ী শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হন। পৃথিবীর মোট যানবাহনের প্রায় ৬০ ভাগ রয়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। আর দুর্ঘটনার ৯৩ শতাংশই ঘটে এসব দেশে।

সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে প্রতি ৪ জনের ১ জনই পথচারী বা সাইকেল আরোহী। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নুর মোহাম্মদ মজুমদার, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আতিকুল ইসলাম, বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password