পদ্মা সেতুর টোল আদায় করবে চীন-কোরিয়ার কোম্পানি

পদ্মা সেতুর টোল আদায় করবে চীন-কোরিয়ার কোম্পানি
MostPlay

পাঁচ বছরের জন্য পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার কাজ পেল কোরিয়া ও চীনের কোম্পানি। যৌথভাবে কাজটি পরিচালনা করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভাচ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।

পদ্মা সেতুর টোল আদায় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, টোল আদায় হবে, এটা জানি। কিন্তু টোলের পরিমাণ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আমরা একটা কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই পদ্মা সেতুতে আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, সেটা পূর্ণমাত্রায় টোলবাবদ আদায় করব। আমরা অন্যান্য প্রোজেক্টগুলো থেকেও টোল আদায় করছি, পদ্মা সেতু থেকেও টোল আদায় হবে।

শ্রীলঙ্কার পরিণতি নিয়ে শঙ্কা নিয়ে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বৈদেশিক ঋণ থেকে শুরু করে রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রফতানিসহ সব সূচকেই বাংলাদেশ ‘অনেক শক্তিশালী’। ক্রমাগত উন্নতিতে একযুগ আগে যে শ্রীলঙ্কা উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে ওঠার পথে ছিল, সেই শ্রীলঙ্কা এখন দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে দেউলিয়া হওয়ার পথে। শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের কোন শঙ্কা আছে কিনা?

উত্তরে তিনি বলেন, এখনও বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক শক্তিশালী। যে বিষয়বস্তু নিয়ে মূল্যায়ন করা হয় সেগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান ভাল। যেসব দেশের জিডিপির তুলনায় ঋণের পরিমাণ বেশি, তারা বিপদে আছে। আমরা কিন্তু সেই বিপদে নেই। আমাদের জিডিপির তুলনায় ঋণ এখনও ৩৪ শতাংশ। এজন্য সে সমস্ত দিকে আমরা চিন্তা করি না। সামষ্টিক অর্থনীতির এমন কোন দিক খুঁজে বের করা যাবে না, যেখানে পর্যালোচনা করে বোঝা যাবে যে, সামনের দিকগুলো ভাল নয়।

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা হচ্ছে কেন? এতে করে কোন অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মুস্তফা কামাল বলেন, কেউ আলোচনা করলে করতে পারে। কিন্তু সেটা আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আমাদের রিজার্ভ অনেক উপরে আছে। রেমিটেন্স দিন দিন বাড়ছে, রফতানি বাড়ছে, মূল্যস্ফীতির হারও নিয়ন্ত্রিত, টাকাও অবমূল্যায়ন করা হয়নি। অর্থনীতির এসব সূচকে বাংলাদেশের ভাল অবস্থানের কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাহলে আমাদের সমস্যাটা কোথায়?

আমি মনে করি যে আমরা নিরাপদ অবস্থানেই আছি। চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল নির্মাণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ ॥ চট্টগ্রামে ‘বে-টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোরিয়ার দুই কোম্পানিকে নিয়োগ দিয়েছে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার (বিকেলে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১০ম এবং সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে ৩টি উপস্থাপনসহ) ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।

ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি এবং সেতু বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল।

এর মধ্যে ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১০টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অবলম্বন করে এবারও ৮২৮ কোটি ২০ লাখ ৪৮ হাজার টাকায় কাতার, সৌদি আরব ও কাফকো (কর্ণফুলি ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি) থেকে ৯০ হাজার টন সার কেনার তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password