বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় বাড়িতে ফিরল সামিয়ার নিথর দেহ

বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় বাড়িতে ফিরল সামিয়ার নিথর দেহ
MostPlay

ব্যবসায়ী কবির হোসেনের সঙ্গে বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয় সামিয়ার। বিয়ের দিনই তাকে তুলে নিয়ে যায় কবির। বেশ ভালোই চলছিল সংসার। তবে হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটাল কবির। সে জানাল, বাবা-মায়ের চাপে পড়েই নাকি সামিয়াকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে। অতঃপর ১৯ দিনের মাথায় বাবার বাড়িতে ফিরল সামিয়ার নিথর দেহ।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্বামীর টঙ্গীর কাঁঠালদিয়ার বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে সামিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশ। আর সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি ফিরেছে তার লাশ। নিহত সামিয়া সুলতানা (২০) গাজীপুরের কালীগঞ্জের তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ইউপির রাধুরা গ্রামের কৃষক মো. বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। দুই ভাই-দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন সামিয়া।

নিহতের চাচা আবদুল কাদির জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর টঙ্গী পশ্চিম থানার কাঁঠালদিয়া এলাকার ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ধুমধাম করে বিয়ে হয় সামিয়ার। বিয়ের দিনেই নববধূকে তুলে বাড়িতে নিয়ে যায় কবির। তুলে নেয়ার ৪ দিন পর স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে শ্বশুর বাড়ি আসে।

পরে গত শুক্রবার সামিয়াকে নিয়ে আবার টঙ্গী ফিরে যায় কবির। ফিরেই অকারণে খারাপ আচরণ শুরু করে। কবির জানায় ‘বাবা-মার চাপে সামিয়াকে বিয়ে করেছে। অন্য মেয়ের সঙ্গে প্রেম ছিল তার’। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়।
সোমবার রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ‘অপছন্দ’ এবং ‘ঝগড়ার’ বিষয়টি সামিয়া রাতেই বড় বোন সেলিনাকে মোবাইলে জানায়। সকাল ১০টায় মৃত্যুর খবর পেয়ে তারা টঙ্গী থানায় গিয়ে সামিয়ার লাশ দেখতে পান।

টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই মো. কায়সার হাসান ফারুক জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কবির ব্যবসায়িক কাজে বের হলে সামিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরে শুয়ে পড়েন। সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের না হলে শাশুড়ি জানালা দিয়ে দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে সামিয়ার লাশ ঝুলছে।

পরে পুলিশে খবর দিলে বেলা সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় টঙ্গী থানায় সামিয়ার বাবা বাদি হয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password