মিয়ানমার থেকে ছোড়া বেশ কয়েকটি গোলা এসে পড়েছে বান্দরবনের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তরপাড়ায়। এতে এলাকাবসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এটিকে দুর্ঘটনা বিবেচনা করে মিয়ানমারকে সতর্ক করবে বাংলাদেশ। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য কোনো দেশ রোহিঙ্গাদের নিতে চাইলে তা পর্যালোচনা করে জানানো হবে- বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টারশেল বাংলাদেশ-মিয়ানমার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন ঘুমধুম এলাকার জনবসতিতে পড়েছে। তবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর (বিজিবি) সদস্যরা মর্টারশেল দুটি ঘিরে রেখেছেন। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্ত এলাকার মানুষজন। রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু বাজার এলাকায় মর্টারশেল দুটি পড়ে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'বিকেলে বিকট শব্দে মর্টারশেলটি উত্তর পাড়ার একটি বাড়ির কাছে পড়ে। পরে আরও একটি গোলা কাছাকাছি রাস্তায় এসে পড়ে। আমরা আতঙ্কে আছি, কখন কি হয়।' ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, 'গত দুই সপ্তাহ ধরে ওপারে গোলাগুলি হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি রাখাইনে মায়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতদিন পাহাড়ে গোলা ছুড়লেও আজকে উত্তর পাড়ায় মর্টারশেল গুলো পড়েছে।

এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে।' এ বিষয়ে বিজিবি জানায়, সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সীমান্তে কর্মরত বিজিবির জোয়ানেরা। মর্টারশেল দুটো নিস্ক্রিয় করার চেষ্টা চলছে। বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।