গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ’র নিয়মে অসন্তুষ্ট চাকরিপ্রার্থীরা

গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ’র নিয়মে অসন্তুষ্ট চাকরিপ্রার্থীরা
MostPlay

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে নিবন্ধিত শিক্ষকগণ একটা গণবিজ্ঞপ্তির সন্ধান পান। লক্ষ লক্ষ প্রতিযোগীর সাথে যুদ্ধ করে প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা শেষ করেন এক একজন নিবন্ধিত শিক্ষক। তারপরে আসে গণবিজ্ঞপ্তি। সেখানে গিয়ে যে সবাই জব পাবেন এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই তাঁদের। কারণ হলো এনটিআরসি এর যত আজব রীতিনীতি।

সম্প্রতি ১৬ তম নিবন্ধনের চাকরিপ্রার্থীদের কথাই উল্লেখ করা যায়। এনটিআরসিএ’র এ পরীক্ষা ভাইভা নাগাদ সম্পন্ন করতেই লেগে গেছে প্রায় তিন বছর। এখনো আসেনি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি। কবে আসবে সেই বহুকাঙ্ক্ষিত দিনক্ষণ তা ভাবতে না ভাবতেই অনেকের বয়স ৩৫+ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের আর শিক্ষক হওয়ার সম্ভবনা নেই।

কারণ এনটিআরসিএ’র নীতিমালায় ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের নিয়োগ দানের কোনো সুযোগ নেই। আসন্ন গণবিজ্ঞপ্তি আসতে আসতে আরো কতজনেরই বা বয়সসীমা ৩৫ পার হয়ে যাবে তার যথাযথ পরিসংখ্যান দেয়া সম্ভব না হলেও এর ভয়াবহতা সহজেই অনুমেয়।

এছাড়া চাকরিরত শিক্ষকরাও প্রতিষ্ঠান বদলির জন্যে মুখিয়ে থাকে গণবিজ্ঞপ্তির দিকে। কারণ এনটিআরসিএ-এর নিয়মে প্রতিষ্ঠান বদলির জন্যে তাঁদেরকেও আবেদন করতে হয় বেকার নিবন্ধীত শিক্ষকদের সাথে। ফলে ভালো মেধা বা মেরিট স্কোর থাকা সত্ত্বেও বেকারদের অনেকেই কাঙ্ক্ষিত চাকরি পান না। আবার চাকরিরত শিক্ষকগণের এ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠান বদলের কারণে প্রকৃত অর্থে শূন্য পদগুলোর বৃহৎ অংশই অপূর্ণ থেকে যায় এবং বেকারত্বের বেড়াজাল থেকে বের হতে পারেন না নতুন নিবন্ধিত শিক্ষকগণও।

জাতীয় মেধা তালিকায় দেখা যাচ্ছে সবাই এ যাবৎকালের মোট নিবন্ধিত শিক্ষকদের সাথে নিজেদের পজিশন স্থির করেন। কিন্তু এতে প্রতিযোগীতা হয় তীব্র থেকে তীব্রতর। কারণ অনেকেই রিটেনে ৮০% এর মতো পর্যাপ্ত ভালো নম্বর পেলেও একই নম্বরের শত শত প্রার্থীদের কারণে মেধা তালিকায় যথেষ্ট পিছিয়ে থাকেন। 

সম্প্রতি ১৬ তম নিবন্ধনের কয়েকজন চূড়ান্ত ফলাফলপ্রাপ্ত প্রার্থীর সাথে আলোচনা করে জানা যায়, মাত্র ১/২ মার্কের জন্যে তারা সরে যায় শত শত জনের পিছনে। এভাবে নিয়োগদানের রীতিনীতির বিপক্ষে তারা তাদের জোরালো মতামত প্রকাশ করে নতুনভাবে এনটিআরসিএ’র রীতিনীতিকে ঢেলে সাজানোর জন্যে সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানান।

তাদের দাবি এনটিআরসিএ-কেও বিসিএসের মতো প্রতিটা  পরীক্ষার জন্যে আলাদা আলাদা নিয়োগদানের পদ্ধতি চালু করতে হবে। চাকরিরতদের বদলির ক্ষেত্রেও এমন অযৌক্তিক নিয়ম বাতিল করে নতুন পদ্ধতি করতে হবে। তাহলে সারাদেশে শিক্ষক সংকট দূর হবে এবং বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের এ বাংলাদেশ। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password