সবার বাড়িতেই ফ্রিজ অনেক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। ফ্রিজ মোটেই শখের জিনিস না। সব জায়গায় এমনকি সব সময়েই জন্যই ফ্রিজ প্রয়োজনীয়। ফ্রিজ আছে বলেই, সপ্তাহে একদিন বাজার করে তা সপ্তাহ ভরে সংরক্ষণ করা যায়। এতে করে অনেকটা সময়ও বেঁচে যায়। এমনকি খাবার নষ্ট হওয়ার ভয়ও থাকেনা। ফ্রিজে বাড়তি খাবারও সংরক্ষণ করা যায়। এতে খাবার অপচয় হয় না, খরচও বাঁচে।
বর্তমান সময়ে ফ্রিজ ছাড়া একটি দিনও ভাবা যায় না। কিনে রাখা ফলমূল, শাক-সবজি তরতাজা রাখতে চাইলে ফ্রিজ থাকাটা জরুরি। এছাড়াও তীব্র গরমে যখন-তখন ঠাণ্ডা পানীয় খেতে চাইলে ফ্রিজ তো চাই-ই চাই। ফ্রিজের এত উপকারিতা কিন্তু মাস শেষে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে পেলেই মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু, এত সুবিধার জন্য তো এটুকু কষ্ট করতেই হবে। তবে, কিছু উপায় আছে যাতে করে বিদ্যুৎ বিলেও সাশ্রয়ী হওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নিই সেই উপায়গুলো-
ফ্রিজ খালি না রাখা: জেনে রাখা জরুরি যে, ফ্রিজের ভিতরে যত ফাঁকা জায়গা থাকবে, তাপমাত্রা ধারণ ক্ষমতা তত কমে যাবে। তাই ফ্রিজ খালি অবস্থায় চালানো থেকে বিরত থাকুন। ফ্রিজ সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার সংগ্রহ করুন।
আবহাওয়া বুঝে তাপমাত্রা সেট করা: প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রা সেট করুন। গরমের সময় আর শীতের সময় ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা নিশ্চই এক হবে না। তাই অবশ্যই আবহাওয়ার তারতম্যের সাথে ফ্রিজের তাপমাত্রার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অযথা ফ্রিজের পাওয়ার যত কম রাখবেন, বিদ্যুৎ বিলও তত কম আসবে।
দরজা খুলে রাখবেন না: দেখা গেছে, বেশিরভাগ সময়ই আমরা ফ্রিজ খোলা রেখে সিদ্ধান্ত নেই যে, কোন খাবার বের করবো। এটি কিন্তু একদমই উচিত নয়। তাই, ফ্রিজ খোলার আগেই ভেবে নিন ফ্রিজ থেকে কী বের করবেন। কারণ ফ্রিজ বেশি সময় ধরে খুলে রাখলে ফ্রিজের কমপ্রেসারের ওপর চাপ পড়ে এমনকি বিদ্যুৎ-এর খরচও বেশি হয়।
গরম খাবার ফ্রিজে রাখা যাবে না: গরম খাবার কখনোই ফ্রিজে ঢুকানো যাবে না। সেক্ষেত্রে, খাবার আগে বাইরে রেখে স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলে পরেই ফ্রিজে রাখুন। কারণ গরম খাবার ফ্রিজে রাখলে সেটি ঠাণ্ডা হতে কমপ্রেসারের ওপর চাপ তৈরি হয় এবং বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসে এর ফলে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন