ঢাকার প্রবেশমুখগুলোয় শনিবার বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন যুগ্ম কমিশনারসহ ৩১ জন পুলিশ সদস্য রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন।
যদিও এর আগে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংঘর্ষে ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ী থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান ও শ্যামপুর জোনের অতিরিক্তি উপকমিশনার মো. আলাউদ্দিন আহত হন।
এ সময় আহত হন এসআই ভদ্র মল্লিক, নায়েক শামিম, কনস্টেবল শান্ত, কনস্টেবল মিটুল, কনস্টেবল চন্দন, কনস্টেবল পাপ্পি, কনস্টেবল পারভেজ, জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তাদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বংশালের নর্থ-সাউথ রোডের কেরোসিন গলির রাস্তার মাথায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেলে বংশাল থানার এসআই শিশির কুমার কর্মকার ও এসআই নয়ন কুমার সাহা আহত হন। মিডফোর্টের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময় তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
সূত্রাপুরের ধোলাইখাল গোয়ালঘাট মোড়ে সংঘর্ষে ১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হলেন সূত্রাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম, এসআই নাসির উদ্দিন হাওলাদার, এসআই জাহাঙ্গীর, এএসআই জিয়াউর রহমান, এএসআই মাঈন উদ্দিন, কনস্টেবল শরিফুল ইসলাম, ডিবির এসআই ইসমাইল হোসেন, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল সৈয়দ জিন্নাত আলী, নায়েক এমদাদুর, কনস্টেবল বেনজির, রিয়াসাদ, সজিব রেজা ও ইসরাফিল।
তাদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে ২০ জনের বেশি পুলিশ সদস্য আহত হন। উত্তরা-পূর্ব থানার ৪নং সেক্টরের হলিল্যাব মোড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তরা-পূর্ব থানার এসআই আল আমিন, কনস্টেবল এনামুল হক ও জুবায়দুর রহমান আহত হন।
বিএনএস সেন্টারের সামনে উত্তরা-পূর্ব থানার এসআই সমিত মজুমদার, কনস্টেবল শামীম মাহমুদ, রুনা লায়লা ও রুবেল আহত হন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধের পশ্চিম মাথায় সংঘর্ষে উত্তরা-পূর্ব থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল আব্দুল আলিম, কনস্টেবল রুহুল আমিন আহত হন।
তারা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের স্কলাস্টিকা স্কুলের সামনে সংঘর্ষে বিমানবন্দর থানার এসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, এএসআই নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল রথিন্দ্র চন্দ্র বিশ্বশর্মা, কনস্টেবল ইমদাদুল হক, কনস্টেবল ইমদাদুল হক ও কনস্টেবল আবুল হোসেন আহত হন। তারা স্থানীয় জাহানারা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন