স্পেনে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের শঙ্কা

স্পেনে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের শঙ্কা

ঝুলন্ত পার্লামেন্টের শঙ্কা তৈরি হলো স্পেনে। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। সর্বোচ্চ ১৩৬ আসন পেয়েছে বিরোধী দল পিপলস পার্টি-পিপি। স্পেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দল পিপলস পার্টি (পিপি) এগিয়ে রয়েছে। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ঝুলন্ত পার্লামেন্টের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কারণ, জোট সরকার গঠনের আলোচনা সফল হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। গতকাল রোববার স্পেনের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ৩৫০ আসনের কংগ্রেস অব ডেপুটিজের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭১ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০১৯ সালে আগের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, রক্ষণশীল পিপলস পার্টি ১৩৬ আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের ক্ষমতাসীন দল স্প্যানিশ সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টি পেতে যাচ্ছে ১২২ আসন। সরকার গঠনে কিংমেকার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে উগ্র ডানপন্থী ভক্স ও বামপন্থী সুমার দল। ভক্স পেয়েছে ৩৩টি আসন আর সুমার পেয়েছে ৩১টি আসন। আগামী ১৭ আগস্ট পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশন আহ্বান করার পর দুই পক্ষ সরকার গঠন নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে পিপলস পার্টির প্রধান আলবের্তো নুনিয়েস ফেইহোকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণে আমন্ত্রণ জানাবেন রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ।

অবশ্য ২০১৫ সালের নির্বাচনের পরও পিপলস পার্টির তৎকালীন নেতা মারিয়ানো রাহইকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজা। কিন্তু প্রয়োজনীয় সমর্থন নেই জানিয়ে তিনি রাজার আহ্বানে সাড়া দেননি। যদি নুনিয়েস প্রধানমন্ত্রী হতে প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন, তাহলে সানচেজকে আমন্ত্রণ জানাবেন রাজা। তবে এ জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া নেই।

কিন্তু দুই প্রার্থীর কেউই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন না পান, তাহলে প্রথম নির্বাচনের দুই মাসের মধ্যে আবার নতুন নির্বাচন হবে। ধারণা করা হচ্ছে, উগ্র ডানপন্থী ভক্সকে নিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাবে রক্ষণশীল পিপলস পার্টি, যদিও তা ১৭৬ আসনের ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে কম। অন্যদিকে সুমার ও অন্যান্য আঞ্চলিক দলের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করবে ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টি। তবে দুই দলের সরকার গঠনের এ প্রচেষ্টার সফলতা নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকেরা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password