২২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নেবানো সম্ভব হয়নি, নিহত বেড়ে ৪৯

২২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নেবানো সম্ভব হয়নি, নিহত বেড়ে ৪৯
MostPlay

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ী ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ২২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সেই আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকল বাহিনী কর্মীদের। এছাড়া সময় যত যাচ্ছে এর ভয়াবহ বিস্ফোরণে বেড়েই চলছে নিহতের সংখ্যা। আট ফায়ার যোদ্ধাসহ এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জনসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫০ জন।

রোববার(৫জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পর্যন্ত আগুন নেভাতে চেষ্টা করছে ২৬টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী থেকে অফিসাররা যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৫০ জন সদস্য সেখানে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. আলাউদ্দীন তালুকদার গনমাধ্যমকে জানান, রোববার (৫ জুন) ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালেও মারা গেছেন কয়েকজন। এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে দগ্ধ হয়ে ভর্তি আছেন ১৫০ জন।

জানা যায়, ফায়ার সার্ভিস জানায়, কনটেইনার ডিপোটিতে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’ ছিল। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

এক সূত্রে জানা যায়, কেমিক্যাল কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন লাগার পর পর কন্টেইনারগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কন্টেইনার ডিপোর আশে পাশের ৪-৫ কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক কম্পনের সৃষ্টি হয়। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় শতাধিক বিভিন্ন বাড়ি-ঘর ও মসজিদের দরজা এ জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password